স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন স্কুল শিক্ষিকা

মোংলায় স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয় প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ধর্মান্তরিত হয়ে নাম পরিবর্তন করে প্রেমিককে নিয়ে নতুন সংসার বাঁধলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন আগের নামেই। অন্যদিকে ঘরে ঘুমিয়ে রেখে যাওয়া সন্তান তার বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে বেড়াচ্ছে তার মাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দরবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন শর্মিষ্ঠা মিত্র নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে জুন মাসে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন তিনি। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পরিচয় এবং পরকীয় প্রেমে জড়িয়ে পড়েন বিবাহিত উঠতি বয়সী এক তরুণের সঙ্গে।

বেশ কিছুদিন চুটিয়ে প্রেম করার এক পর্যায় গত মার্চ মাসে স্বামী ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া এক পুত্র সন্তানকে ঘরে ঘুমিয়ে রেখে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ নিখোঁজ হন ওই স্কুল শিক্ষিকা। স্বামী-সন্তান ও স্বজনরা টানা এক মাস খোঁজা খুঁজির পর পরকীয় প্রেমিকের সঙ্গে বসবাসের সন্ধান পায় তার। আর এরই মধ্যে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নোটারির মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে মো. রুবেল নামের ওই যুবককে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করে স্কুল শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা ওরফে সেজুতি। এদিকে স্কুল শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা মিত্র ধর্মান্তরিত হয়ে নাম পরিবর্তন করলেও শিক্ষা বিভাগের কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে আগের নামেই সরকারি কোষাগার থেকে প্রতি মাসের বেতন ভাতা তুলছেন।

এ বিষয় স্কুল শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা মিত্র (নতুন নাম সেজুতি) জানান, তার আগের স্বামী ভ্রম্যনমাঠ গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকায় অন্যত্র বিয়ে করেছেন। আর বিয়ের বিষয়টি একান্ত তার ব্যক্তিগত বিষয় এবং শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে সময় হলেই জানানো হবে বলে জানায় তিনি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিমল চক্রবর্তী জানান, প্রেম-প্রণয়ের ঘটনাটি ওই শিক্ষিকার ব্যক্তিগত বিষয়।

এ বিষয় বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবির উদ্দিন জানান, ঘটনাটি মৌখিক ভাবে জানার পর তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খোঁজ খবরসহ সার্বিক বিষয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।