কচুয়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের কচুয়ায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধুকে মারধরের অভিযোগ উছেছে। ৭ মার্চ সোমবার এঘটনায় কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ এবং নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫বছর পূর্বে কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলের সাথে একই উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের কাদলা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের মেয়ে তানজিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামাতাকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য গৃহবধু তানজিনাকে চাপ দিতে থাকেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী উজ্জল, শ্বাশুড়ি শাহনাজ ও শ্বশুর তোফাজ্জল হোসেন তাকে প্রায়ই মারধর করেন।

কয়েক বছর পূর্বে তানজিনার কাছে তার বাবার বাড়ির সম্পত্তি ও কিছু টাকা যৌতুক দাবি করে উজ্জল। তখন বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে স্বামীকে দেয় গৃহবধু তানজিনা।

এদিকে গত ৭ মাস পূর্বে পুনরায় তানজিনার কাছে যৌতুক দাবী করে তাকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরবর্তীতে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে কয়েকদিন পূর্বে তানজিনাকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠায় বাবার বাড়ির লোকজন।

তানজিনা ও উজ্জলের দুবছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত ৩ আগষ্ট তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুনরায় তার কাছে যৌতুক দাবী করলে সে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে ঘরে তালা মেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তানজিনার তানজিনার শ্বশুর, শ্বাশুরি ও অনান্য লোকজন।

পরবর্তীতে গৃহবধু তানজিনার ভাই বিষয়টি কচুয়া থানায় অবহিত করে কড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির সহযোগীতায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তানজিনাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে তানজিনা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত গৃহবধু তানজিনা এ প্রতিবেদককে বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী উজ্জ্বল তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করেন। শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির কথামতো যৌতুকের টাকা দাবি করেন। একটি শিশু সন্তান রয়েছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।