দোহারে বন্যার পানিতে এলজিইডি’র তৈরি নতুন রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে

মাকসুমুল মুকিম
দোহার প্রতিনিধি :

চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়েছে অনেক কিছু। তারই ধারাবাহিকতায় দোহারের অধিকাংশ অঞ্চল ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা ধারণ করেছিল ভয়ানক রূপ। এসব এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছিলো অধিকাংশ এলজিইডি’র তেরি করা রাস্তা।

এখন পানি নেমে গেলেও ক্ষতবিক্ষত রাস্তাগুলো এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে বন্যার স্মৃতি। তেমনি একটি রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়ার মত।

দোহারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা মিললো উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরকুশাই দেওভোগ প্রাইমারী স্কুল থেকে আরম্ভ করে করিম বেপারী মনসুর সড়কটিতে গিয়ে শেষ হয়।

জানা যায়, সড়কটি নির্মাণ কাজের আদেশ দেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। গ্রেটার ঢাকা ইনফ্রাকচারার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় (জিপিডি-৩) ৬০০ মিটার নতুন রাস্তার কার্যাদেশ পান মের্সাস এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস লিমিটেড। নির্ধারিত সময়ে কাজটির ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করলে চলমান বন্যার পানিতে সড়কটি ডুবে যায়।

এক পর্যায়ে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে তা লোকায়লে প্রবেশকালে বানের পানিতে সড়কটির ৮০ ভাগই ভেঙ্গে যায়। শুধু তাই নয় সড়কের পাশের একাধিক পাকা বাড়িঘর বানের পানিতে ভেঙ্গে খানখান হয়ে যায়। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে খানাখন্দ হয়ে পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের নির্দেশে জয়পাড়া থেকে কার্তিকপুর মৈনট ঘাট যাওয়ার এক মাত্র বাইপাস রাস্তা উপজেলার চর-লটাখোলা হয়ে মাহমুদপুর দিয়ে সরাসরি মৈনটঘাটে পৌছাতে যে রাস্তাটি ছিলো সেটাও বানের বানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে থাকে। এছাড়াও ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএন জি, রিক্সা, অটো, ভ্যান, মটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা দুর্বিষহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এসব এলাকার মানুষ যাতায়াত, কাঁচা বাজার ও হাটবাজার করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের মৌড়া-ধিৎপুর, সাইনপুকুর এলাকার রাস্তার ও একই দশা। নারিশা ইউনিয়নের নারিশা বাজার,নারিশা ইউনিয়ন পরিষদ র্সংলগ্ন সড়ক, নারিশা চৈতাবাতর সড়ক,মেঘুলা হাট-বাজারের রাস্তা। সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর, কাজিরচর, দোহার পুরী এলাকার রাস্তা।

বিলাশপুর ইউনিয়নের রাধানগর, বিলাশপুর, হাজারবিঘা। কার্তিকপুর এলাকার মৈনটঘাট, হরিচন্ডি, প্রাণকুন্ড এলাকার সবমিলিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার এলজিইডি’র পাকা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শিদী প্রিয় সময় ডট কমকে জানান, আমরা ইতিমধ্যে প্রায় দশ কিলোমিটার ভাঙ্গা পাকা রাস্তা চিহ্নিত করেছি। এগুলো মেরামত করতে দ্রত তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এর মধ্যে নতুন রাস্তা দেওভোগ এলাকায় প্রায় ৬০০ মিটার নতুন রাস্তার কাজ চলছিলো। বানের পানিতে রাস্তাটির প্রায় ৫০ ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট তৈরী করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।