চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধে ভাঙন, দেখা দিয়েছে নতুন ফাটল

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট :
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধের পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় আবারও মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত ১০টায় ওই এলাকার বাঁধসহ সড়কের প্রায় ২৫ মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এতে সড়কের বেশ কিছু অংশ ও বৈদ্যুতিক খুটিসহ ভেঙেন নদী গর্ভে চলে যায়। এলাকায় বর্তমানে বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে গিয়ে দেখাগেছে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ২৫ মিটারের সাথে বাধের আরো ৬০ থেকে ৭০ মিটার ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দার খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন। এতে তাদের চরম দূর্ভেোগ।

ভাঙনের সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছেন। নতুন করে আরও ব্যাগ বালু ভর্তি করা হচ্ছে। স্থায়ী ও শক্তিশালী বাধ না হলে বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি মেঘনায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসন্দিারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত বছর থেকে ভাঙন এলাকাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ওই সময় মন্ত্রীসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেছেন। ১১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাধ হবে বলে আশ^াস দিলেও এখনও তা করা হচ্ছে না। যখন ভাঙন দেখা দেয় তখন কিছু বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়, ভাঙন কিছুটা কমলে আর কোন কাজ হয় না। গত ২০ দিন আগেও একবার ভাঙন দেখা দিয়েছিলো। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড যে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ র্নিধারণ করে সেখানেই এখন ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন জানান, ভাঙন প্রতিরোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাত থেকেই শ্রমিক কাজ করতে শুরু করেছেন। তবে এখানে পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। তারপরেও কাজ বন্ধ নেই। ২৫ মিটার এলাকাজুড়ে ফাঁটল দেখা দেয়ায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। মেঘনা নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে হরিসভাসহ পুরানবাজার ব্যবসায়িক এলাকাটি ঝুঁকিতে রয়েছে।

জেলার এই প্রধান বানিজ্যিক শহরটি রক্ষা করতে হলে সংস্কার নয়, অতিদ্রুত স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। না হয়, কোনো এক সকালে খবরের সংবাদ হবে- মেঘনার ভাঙনে পুরাণবাজারের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন।