মাদারীপুরে গৃহবধূকে আটকে রাতভর ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

মাদারীপুরের কালকিনিতে গৃহবধূকে রাতভর গণধর্ষণের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, রাজৈরে কিশোরীকে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ। নারী নেত্রীরা বলছেন, সামাজিক প্রতিরোধের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসলে কমে আসবে ধর্ষণ।

মাদারীপুরের কালকিনিতে গত ১৫ আগস্ট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এক গৃহবধূ। পরে রাস্তা থেকে তুলে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় আবুল হোসেন মাতুব্বর, নাঈম আকন, মিঠু চৌকিদার ও জহিরুল ইসলাম নামে ৪ বখাটে। পরে জোরপূর্বক রাতভর গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন গৃহবধুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৪ আগস্ট কালকিনি থানায় ৪জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধু।

এদিকে গত ১৪ আগস্ট রাজৈরে এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে বিদ্যুৎ বিশ্বাস নামে এক বখাটে। এ ঘটনায় এলাকায় দফায় দফায় মীমাংসার চেষ্টা চালায় স্থানীয় নেতারা। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২২ আগস্ট রাজৈর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিনিয়ত সচেতনামূলক কর্মসূচি চলমান রাখতে ধর্ষণের ঘটনা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন নারী নেত্রীরা। মাদারীপুর মহিলা উন্নয়ন সংস্থা নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন লাকী বলেন, চার্জশিট করে অপরাধীদের শাস্তি দিলেই তারা এগুলো করতে ভয় পাবে।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরা চেষ্টা চলছে। এদিকে নির্যাতনের স্বীকার কালকিনির ওই গৃহবধু ও রাজৈরের কিশোরীর সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।