চাঁদপুরে আলোচিত ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারানো রহিমের জমি আছে ঘর নেই : স্টেশনে জীবন- যাপন

কবির হোসেন মিজি :
চাঁদপুরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারানো আব্দুল রহিম বেপারীর জমি থাকলেও তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারের দেয়া একটি ঘর। তাই বিগত ২০/২৫ বছর ধরেই ট্রেন স্টেশনের প্লাটফর্মেই জীবন -যাপন করছেন। স্ত্রী – সন্তান নিয়ে প্লাটফর্মেই সংসার পেতেছেন ৫৫ বছর বয়সী আব্দুল রহিম বেপারী।
জানাযায়, প্রায় ১৫/২০ বছর পূর্বে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও উয়ারুকের মধ্যবর্তীস্থানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আর এই দুর্ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটে। তাদের মধ্যে একজন হলেন, আহত আব্দুল রহিম বেপারী। তখন তিনিও সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তার একটি পা হারান।
ছেলে সন্তানরা তার কোন খোঁজ খবর না রাখায় অসহায় হয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করেই তার প্রতিদিনের অন্য জোটে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনের প্লাটফর্মে আব্দুল রহিমকে  চুলায় আগুন দিয়ে রান্না করতে দেখা যায়। তিনি জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বড় সুন্দর গ্রামে তার জন্ম।
তিনি জানান, গ্রামের বাড়িতে তার সাড়ে ৭ শতাংশ জায়গা রয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তিনি কোনো বসত ঘর নির্মাণ করতে পারেন নি। যদিও বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাদের জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন অসহায়দের কে গৃহ নির্মান করে দিচ্ছেন। কিন্তু আব্দুল রহিম বেপারীর ভাগ্যে সরকারের দেয়া সেই ঘর জোটেনি। তার কোন অভিবাবক কিংবা সরকারি কোন সহায়তা পাইয়ে দিতে তেমন কোন লোক না থাকায় নিজের জমি থাকা সত্বেও সরকারি ঘর জোটেনি তার। তাই অসহায় হয়েই স্টেশনের প্লাটফর্মে প্রতিদিন জীবন যাপন করছেন।
আব্দুর রহিম ব্যাপারে জানান বেশ কয়েকবার সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছেন  সরকারি একটি ঘর পাওয়ার জন্য।  কিন্তু তিনি কোনো লিখিত আবেদন করেননি, অথবা চেয়ারম্যান কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কারো সাথে তেমন কোনো আলাপ-আলোচনা না করার কারণে তার ভাগ্যে  হয়তো সরকারের দেওয়া একটি ঘর জোটেনি।
 এই বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আব্দুল রহিম ব্যাপারীর আবেদন সে যেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তার নিজস্ব জায়গাতে একটি সরকারি ঘর নির্মাণ করতে পারেন। সেজন্য তিনি চাঁদপুর জেলা প্রশাসন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।