নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফযিলত

মো.  রফিকুল ইসলাম :

হে মুসলিম ভ্রাতাগণ! আপনারা নামাজের ব্যাপারে অধিক যত্নবান হোন এবং নামাযের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করুন, কারন, নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে ২য়। নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফযিলতের ব্যাপারে পবিত্র কুরআন মাজীদে অনেক আয়াত এবং হাদীস বর্ণিত আছে।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন : “আপনি আপনার উপর অবতীর্ণ কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে,আর তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সব বিষয়ে সর্বাধিক জ্ঞাত।
(সূরা আনকাবুত-৪৫)।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)-হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূল (সাঃ)-ইরশাদ করেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত। ১)আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)তার প্রেরিত বান্দা ও রাসূল। ২)নামাজ কায়েম করা, ৩)যাকাত প্রদান করা, ৪)হজ্জ পালন করা এবং ৫)রমজানের রোযা রাখা। (বুখারী ও মুসলিম)।

হযরত আবু উমামা (রাঃ)-হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ)- বলেছেন, তোমরা তোমাদের উপর ফরয কৃত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো,রমজান মাসে রোজা পালন করো এবং সম্পদের যাকাত প্রদান করো। আর তোমরা তোমাদের কর্তৃত্বশীল নেতার আদেশ মান্য করো,তবেই তোমরা তোমাদের পালনকর্তার জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(তিরমীযী)

হযরত আলী (রাঃ)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ)ইরশাদ করেন : হে আলী! তিনটি বিষয়ে বিলম্ব করোনা, ১)নামাজ,যখন তার সময় আসে। ২)জানাযা,যখন তা উপস্থিত হয়,
৩)স্বামী বিহীন নারী,যখন তুমি তার সমকক্ষ বর পাও। (তীরমিযী)।

হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ- রাসূল (সাঃ)-ইরশাদ করেনঃ- বান্দা এবং কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা। (মুসলিম)।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ-রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ- আচ্ছা বলো তোঃ- যদি তোমাদের কারো দরজায় একটি নহর থাকে, যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে,তার শরীরে কী কিছু ময়লা বাকী থাকবে? সাহাবীগণ বললেন,কোন ময়লা থাকবে না। রাসূল (সাঃ) বললেন,এরূপ উদাহরণ হচ্ছে পাঁচওয়াক্ত নামাজ। আল্লাহ এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে তার বান্দাদের গুনাহ সমূহ মুছে দেন। (বুখারী)।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ)-হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ-রাসূল (সাঃ)সাত জায়গায় নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন। যেমনঃ- ১)আবর্জনা ফেলার স্থান,২)জবেহ খানায়, ৩)কবরস্থানে, ৪) পথিমধ্যে, ৫) গোসলখানায়, ৬)উটশালায় এবং ৭)বাইতুল্লাহর ছাদে। (তীরমিযী)।

পরিশেষে হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঐ সকল লোকদের দলভুক্ত করুন যারা নামাজ সমূহের হেফাজত করছে। আর আপনি আমাদেরকে ঐ সকল মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত করিয়েননা,যারা নামাজকে নষ্ট করছে। আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক পরিচিতি : মোঃ-রফিকুল ইসলাম। শিক্ষার্থীঃ-ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময় : ০৭:২৫ পিএম

২৬ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২ হিজরি, বৃহস্পতিবার