নিখোঁজের ৫ দিন পর পঞ্চগড়ে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

 

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিনপর ফাহিদ হাসান সিফাত (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৩। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মতিউর রহমানসহ মোট ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

৯ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ছোটদাপ এলাকায় পরিত্যাক্ত এক ধানক্ষেত থেকে মাটি চাপা অবস্থায় কলেজ ছাত্র ফাহিদ হাসান সিফাতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিফাত ছোটদাপ এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং দিনাজপুর আদর্শ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

সিফাতের পরিবারের লোকজন জানান, গত ৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাড়ি থেকে বেড় হন। এরপর আর বাড়ী ফিরেননি সিফাত। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দুটিও বন্ধ। এঘটনায় পরদিন ৫ জানুয়ারি আটোয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

এরপর ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিতে সিফাতের নম্বর থেকে ফোন আসে এবং পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায়, সিফাতকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। একই ভাবে, ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আবার ওই নম্বর থেকে ফোন আসে।

পরিবারের লোকজন আরও জানান, কোনোভাবেই সিফাতের সন্ধান না পেয়ে র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক বরাবর ছেলে উদ্ধারের আবেদন করেন সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম।

এবিষয়ে রংপুর র‍্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহম্মেদ ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, অপহরণের পর অপহরণকারীরা সিফাতকে হত্যা করে মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখে। সিফাতের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মতিউর ও লিমন নামে দুই যুবকে আটক করে।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দীন বলেন, প্রধান সন্দেহভাজন মতিউরের স্বীকারোক্তি এবং দেখানো স্থানে র‍্যাব-১৩ হত্যায় ব্যাবহার করা কোদাল, মোবাইল ফোনের সিম, বিভিন্ন আলামতসহ মাটিতে পুঁতে রাখা সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।