তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় শেরপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত

মো. জাকারিয়া খান জাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় জেঁকে বসেছে প্রচণ্ড শীত। কনকনে হিমেল হাওয়া আর প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে দেখা দিয়েছে,আমাশয়, ডায়রিয়া, ঠান্ডা ও পানি বাহিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রার্দুভাব।

এতে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হয়ে শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকেই। গরু, মহিষ ও ছাগলেরও প্রচন্ড শীতের কারণে তাদেরকে নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। সবচেয়ে গরীব, ছিন্নমূল মানুষেরা অতি কষ্টে দিনপাড় করছে।

মাঘের কনকনে হাড়-কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে ভোর বেলায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যায় গরীব মানুষগুলো। চলতি বরো ফসলের মাঠ পরিস্কার পরিছন্নতা ও বরো চারা রোপনের কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল থেকেই ফসলের মাঠে কাজ করেন।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইরি-বোরো ধান রোপনে ব্যস্ততা পার করছে। পরিবার পরিজনরা শীতের কাঁপুনীতে আগুনের তাপ নিচ্ছে,পাশাপাশি খড় দিয়ে রান্না বান্নার কাজও করছেন মহিলারা।

হাট-বাজারেও শীত থেকে বাঁচার তাগিদে সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার পরপরই আগুনের তাপ নিতে দেখা যায়। প্রচন্ড শীতে গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের দুঃখের শেষ নেই, শীত বস্ত্রের অভাবে অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা। পুরাতন কাপড়ের দোকানে কম দামের শীত বস্ত্র ক্রয় করতে গরীব মানুষের উপচে পরা ভিড় ও দিনের বেলায় যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

এদিকে সূর্যের আলো দেখা না যাওয়ার ফলে জেলার পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষেরা ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শীতের মধ্যে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে।

দিনের বিকালতে একটু রোদ থাকলেও সন্ধার পড়ে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ে।এতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।