আফগানিস্তান থেকে চালানো হামলা, পাকিস্তানি সেনা নিহত

আফগানিস্তানের ভেতর থেকে চালানো হামলায় পাক-আফগান সীমান্তে ৫ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে পাকিস্তানের কুররম জেলায় অবস্থিত আফগান সীমান্তে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। গত বছরের আগস্টে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের কুররম জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে আফগানিস্তানের ভেতর থেকে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে পাকিস্তানের ৫ সেনা নিহত হয়েছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। পাকিস্তান এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ইসলামাবাদ আশা করে, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভবিষ্যতে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে দেবে না।’

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে আফগান সীমান্তের ভেতর থেকে পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং এর জবাবে সেনাসদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। পরবর্তী তিন ঘণ্টা এই গুলিবিনিময় চলে।

এদিকে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এ ধরনের ক্রস বর্ডার হামলা বন্ধ করা উচিত তালেবানের।’

তবে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে আফগান সরকার।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল কারিমি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমরা সব দেশকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশীদের নিশ্চিত করছি যে- কেউই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারবে না।’

এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে আফগানিস্তান সীমান্তে প্রায় একই ধরনের একটি হামলায় দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিলেন। তালেবান গোষ্ঠী রাজধানী কাবুলসহ পুরো আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর সেটিই ছিল প্রথম এ ধরনের হামলা।