দোহারে কাজের মহিলার উপর হামলা

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার দোহার উপজেলায় কাজের মহিলা জরিনাকে (৪০) কু-প্রস্তাব দেয় মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী আর এতে কাজের মহিলা জরিনা রাজি না হওয়ায় তার উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে।

২৮ অক্টোবর ভোর সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত জরিনাকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে জরিনা (৪০) দোহার থানায় মামলা করতে গেলে থানা কৃর্তিপক্ষ অভিযোগ নেয় কিন্তু মামলা নেয়নি।

এবিষয়ে জরিনা বলেন, আমাকে মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী (৫৫) তার বাসায় কাজের জন্য বলে সে বলে আমাকে ৫-৬ হাজার টাকা মাসিক বেতন দিবে আমি রাজি হই। মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী বাসায় কাজ করার সময় তিনি আমার উপর পাশবিক নির্যাতন করে আমি সেগুলো সহ্য করেও নিজের সম্মান রক্ষা করে কাজ করতে থাকি।

তিনি আরো বলেন, মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী জুন মাসের ৭ তারিখে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ মিনিটে বাড়িতে কেউ ছিল না সে সময় তিনও আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আমি তখন চিৎকার করি কিন্তু আশেপাশের লোকজন কেউ না থাকায় এগিয়ে আসে নাই। পরে আমি মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীকে বলি আমি আপনার স্ত্রীকে সব বলে দিবো। আমি আর আপনার বাসায় কাজ করো না। তারপর সে বলে এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বললে তোকে জানে মেরে ফেলবো। এরপর আমি তার বাসার চাকরি ছেরে দেই।

পরবর্তীতে আমি যখন ২৮ অক্টোবর সকালে অন্য বাসায় কাজে যাই তখন মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী ও তার সাথে থাকা তোতা খালাসী সকাল ন’টায় দিকে রাস্তায় আমাকে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে ও লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং তোতা খালাসী আমার গায়ের কাপড়চোপড় ধরে টানাটানি করে। একপর্যায়ে ফজলু চৌধুরী কাছে থাকা চাকু দিয়ে আমার পেটের ডান পাশে হত্যার উদ্দেশ্যে পোচ মারে, আর তোতা খালাসী হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে এলোপাথারী বাড়ি মারে। পরে আমি চিৎকার চেচামেচি করলে আশে পাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

তিনি আরো বলেন, আমি তার বাসার কাজ ছেড়েছি বিশ দিন হয়। পরে তিনি আবার আমাকে কাজে যেতে বলে আমি রাজি না হওয়ার সে আমার নামে ৬ নভেম্বর কোটে চুরি মামলা দেয়। পরবর্তীতে আমি তার নামে কোটে গিয়ে নারী নির্যাতন ও হত্যা মামলা করি।

এ বিষয় অভিযুক্ত ব্যক্তি ফজলু চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে মারি নাই এটা মিথ্যা কথা। আমি বেশ কিছু দিন যাবৎ অসুস্থ। সে আমার বাসায় থেকে স্বর্ণ গয়না চুরি করে নিয়ে যায়। কাজের মহিলারা জরিনা ভাল ছিলনা তার খারাপ সভাব ছিল।
পরে জরিনাকে ফোন দিয়ে বা খোঁজা খোঁজি করে না পেয়ে আমি তার নামে চুরি মামলা দেই কোটে। পরে এই বিষয়টা আমাদের এলাকার সবাই বসে মিমাংসা করে দেয়। তারপরও সে কোটে গিয়ে মামলা দেয় আমার নামে।

এবিষয়ে দোহার থানার পুলিশ পরির্দশক (এস আই) মোঃ এনামুল হক বলেন, জরিনা থানায় একটি জিডি করে সেই জিডির তদন্ত আমার কাছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জরিনা কোটে গিয়ে মামলা করেছে আমি জানতে পেরেছি। আমি এখন ছুটিতে আছি সে জন্য থানায় মামলার কপি এসেছে কি-না সে বিষয় কিছু জানি না।