মাদারীপুরে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেন কারারক্ষী শামীম

মাজহারুল ইসলাম (রুবেল), জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুরঃ

মাদারীপুরের ডাসারে মো. শামীম আকন নামে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া। এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

কারারক্ষী শামীম আকন ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের আবুল আকনের ছেলে এবং সে বর্তমানে ঢাকার একটি কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত।

এদিকে এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। তবে ওই টাকা হামিদুল নামে একজন পুলিশ সদস্যের কাছে দিয়েছেন বলে দাবি শামীম হোসেনের পরিবারের। আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

এলাকা ও ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের তোতা সরদারের ছেলে অলিল সরদার ও শাহীন সরদারকে চাকরি দেয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেন তোতা সরদার। পরে ওই কারারক্ষী শামীম হোসেন তোতা সরদারের দুই ছেলেকে চাকরি দিয়ে দিবে বলে বিশ লাখ টাকা দাবি করেন তোতা সরদারের কাছে।

ছেলেদের চাকরির প্রলোভনে পরে প্রায় দুই বছর আগে ওই কারারক্ষীর দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করেন বলে জানিয়েছেন তোতা সরদার। কিন্তু তাদের কারো চাকরি হয়নি। পরে বার বার সময় নিয়েও টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন কারারক্ষী শামীম হোসেন। টাকা ফেরত দিতে চাঁপ প্রয়োগ করেলে তোতা সরদারকে ২০লক্ষ্য টাকার একটি চেক ও স্টাম্প দেন কারারক্ষী শামীম হোসেন। পরে উপায়অন্ত না পেয়ে ওই কারারক্ষী শামীম হোসেনকে আসামী করে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তোতা সরদার।

মামলার বাদী ভুক্তভোগী তোতা সরদার বলেন, আমার দুই ছেলেকে সরকারি চাকরি দেয়ার জন্য আমি কারারক্ষী শামীম আকনের কাছে ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। সে চাকরিও দেয়নাই এবং সে আমার টাকাও ফেরত দেয় না। তাই আমি তার নামে মামলা করেছি। আমি তার প্রতারণার বিচার চাই।

কারারক্ষী শামীম হোসেনের স্ত্রী বলেন, আমরা টাকা এনে হামিদুল স্যারের কাছে দিয়েছি। হামিদুল স্যার ও আমার স্বামী একই সাথে চাকরি করে।

অভিযুক্ত কারারক্ষী শামীম আকন বলেন, আমি তোতা সরদারের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১২ লাখ টাকা এনেছি। আমি তার টাকা ফেরত দিয়ে দেব।