লক্ষ্মীপুরে ও রায়পুরে দোকানের সামনে সুরক্ষা রেখা এঁকেছে পুলিশ

মোঃ হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি :

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হতে প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

ফার্মেসী, মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে ভিড় বেড়েছে। তাই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে কম করে একমিটার দূরত্ব থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে সাদা রং দিয়ে রাস্তার ওপর সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়েছেন রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রাণী প্রামাণিক।

gif makerবৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নির্দেশনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “মানবিক ফাউন্ডেশন” এর সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

রায়পুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিক সাদা রং দিয়ে সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে তাতে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য উৎসাহিত করেন। সামনের দিক থেকে একটি সুরক্ষারেখার জায়গা ফাঁকা হলেই পরেরজন এগিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই শহরের ফার্মেসি, মুদি দোকান ও কাঁচাবাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছেন ক্রেতারা।

মানবিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোক্তা আবদুর রহমান চৌধুরী তুহিন বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। বাঁচতে হলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু অনেকে সেটা মানছে না। সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সাদা রং দিয়ে যেভাবে সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়েছেন তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদের সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে রায়পুরের ফার্মেসী, মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়েছি। প্রতিটি দোকানের সামনে কমপক্ষে ৮-১০টি সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়েছি। সবাইকে সচেতন করতে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে কাজটি করেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর পৌরসভার মেয়র ইসমাইল খোকন, রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া প্রমুখ।