করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে চাঁদপুর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

 

কবির হোসেন মিজি, চাঁদপুর করেসপন্ডেন্ট :

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বর্তমানে দেশের সব ক,কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও  অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন চাঁদপুর ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে যাতে শিক্ষার্থীরা পড়া লেখায় পিছিয়ে না পড়েন সে জন্য এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে চাঁদপুর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে করে ঘরে বসেও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অব্যাহত রয়েছে।

জানাযায়, বেশ কিছু দিন ধরে করোনা দুর্যোগে সরকারি সিদ্ধান্তে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই গত ১৯ মার্চ থেকে এই স্কুলটিতে এই অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

/

 

খবর নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল পর্যায়ের পাঠদান করা হচ্ছে বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে। গুগোল ক্লাসরুম ও হ্যাং আউট অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর নিয়মিত ক্লাস। প্লে গ্রুপ থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা তাদের বাসায় থেকেই কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন। শিক্ষার্থীরাও প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায় এই ভার্চুয়াল ক্লাসগুলোতে অংশ গ্রহন করছেন। ফলে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও পাঠদান কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিক নিয়মেই।

এ বিষয়ে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ নুর খান
বলেন আমরা শ্যাম ও কুল উভয় দিক রক্ষায় ব্যবস্থা করেছি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা বিদ্যালয় বন্ধ রেখেছি। আর এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা চিন্তা করে অনলাইনে ক্লাস নেয়া চালু করেছি। এ সময় যেহেতু জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ। সেহেতু শিক্ষার্থীদের সারাদিন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে। আর তাই তাদের হাতে রয়েছে প্রচুর সময়। অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে তাদের এই সময়ের সদ্বব্যবহার হচ্ছে।

প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আমাদের অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রুটিন মাফিক শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। ভিডিও কলের মাধ্যমে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের মতো করেই ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এতে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুবই উপকৃত হচ্ছেন।