ট্রাকে গাদাগাদি করে নারায়ণগঞ্জের পথে মানুষের ঢল

মোঃ শিপন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে মানুষ আবারও নারায়ণগঞ্জের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন সড়কে মানুষের ঢল নামে।
শনিবারও সকালে একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। যানবাহন চলাচল বন্ধ জেনেও ঢাকামুখী মানুষের ঢল থেমে নেই। কিছু না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দেন অনেকে। অনেকে আসছেন ট্রাক কিংবা পিকআপে করে।
তারা বলেন, আজ রোববার থেকে অফিস খোলা। কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়েই ছুটছেন। গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
gif maker
টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই সপরিবার গ্রামের বাড়ির পথে ছুটতে জেলার কর্মজীবী মানুষ। পরে আরও ৫ দিন বাড়িয়ে করা হয় সাধারণ ছুটি করা হয় ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
তবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বলা হলেও কার্যত ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত হচ্ছে। কারণ ৯ এপ্রিল পবিত্র শবে বরাত।
এর পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। কিন্তু গার্মেন্টস পরিচালনার ক্ষেত্রে মালিকদের ইচ্ছাকেই প্রদান্য দিয়েছে সরকার।
তাই অনেকে ৫ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে শ্রমিকরা চাকরি বাঁচাতে আবারও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আসছে। সকালে দেখা গেছে, পিকআপ ভ্যান আর ট্রাকভর্তি শুধু মানুষ আর মানুষ। এমন চিত্র দেখা যায় ঈদের সময়।
বিশেষ করে তাঁদের অধিকাংশই গার্মেন্টস সেক্টরের কর্মী। এই সময়ে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে বের হতে মানা করা হয়েছে। তারপরও কেন তারা বের হয়েছেন। জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, তারা নিরুপায়। পেটের দায়েই বের হতে হয়েছে।
অনেকে কয়েক কিলোমিটার হেঁটেছেন, কিন্তু বাস পাননি। পরে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন মালবাহী ট্রাক, অটোরিকশা, পিকআপভ্যানে করে।
চোখে–মুখে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের পাশাপাশি যোগ হয়েছে কাজ হারানোর ভয়ও। পিকআপচালক আরিফ বলেন, আমরা তো গত ১৪ দিন ধরে বসে আছি।
ঘরে খাবার নেই, কেউ তো খোঁজ খবর নেয় না। আগে খাবার ব্যবস্থা করেন তার পরে গাড়ি বন্ধ করতে আসেন। খাবার পেলেই আমরা গাড়ি বের করবো না।