ময়মনসিংহে গণধর্ষণ শেষে হাত-পা বেঁধে তরুণীকে নদীতে ফেলল তারা

জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খিরু নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার মরদেহের পরিচয় খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তিনদিন পর উদ্ধার মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেল।

ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। গণধর্ষণ ও হত্যায় ঘটনায় জড়িত দুইজনকে বুধবার (১৭ জুন) গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মনির হোসেন (২৩) ও জামাল হোসেন (২৫)। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণীর পরিচয় ও হত্যার রহস্য জানা যায়।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, ভালুকা উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে (২২) কানিজ ফাতেমা ৩ জুন রাত ৮টার দিকে ভালুকা বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় কানিজকে তুলে নিয়ে যান উপজেলার কাঁঠালি গ্রামের জহির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন ও আইয়ুব আলী শেখের ছেলে জামাল হোসেন। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের খিরু নদী সংলগ্ন আজিজুল হকের বাগানে নিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন তারা পাঁচজন। এ সময় কানিজ চিৎকার করলে প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হাত-পা বেঁধে খিরু নদীতে তার মরদেহ ফেলে দেন তারা।

ভালুকা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব বলেন, ১৪ জুন বিকেলে উপজেলার কাঁঠালি গ্রামের কালেঙ্গারপাড় এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করি।

ভালুকা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত দুই যুবক হত্যা ও গণধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।