যেভাবে ফাঁদে ফেলে ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্রের সদস্য তুর্ণা সব হাতিয়ে নিতো

বিশেষ প্রতিনিধি :

রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে ছবি দিয়ে পরিচিত মুখ। অথচ আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্রের সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী, প্রতারক তুর্ণা আহসান ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিলেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু শিক্ষার্থীকে। এদিকে, তুর্ণার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাম তুর্ণা আহসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকের কাছেই নামটা পরিচিত। উপহার পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তার অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে জানতেন না কাছের মানুষরাও।

সিআইডি অতিরিক্ত ডিআইজি রেজাউল হায়দার বলেন, তার দুটি জগত ছিল। একটা অন্ধকার আরেকটি সাধারণ।

নিজেকে কাস্টমস কর্মকর্তা, ফারজানা মহিউদ্দিন পরিচয় দিয়ে টাকা আদায়ের শেষধাপে কাজ করতেন রাহাত আরা খানম ওরফে তুর্ণা। ফাঁদে পড়ে অনেকে সর্বস্ব হারিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরও টার্গেট করতো এ প্রতারক চক্র।

রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ছিলো তুর্ণার। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে হাস্যজ্জ্বল ছবিও আছে। এগুলোকে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের একটা ইমেজ তৈরি করেছিলেন। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে তুর্ণার সম্পর্ক ছিলো এমন অভিযোগ উঠছে। যদিও অস্বীকার করছেন রাব্বানী।

গোলাম রাব্বানী বলেন, একটা ছবি দিয়ে কখনও সম্পর্ক নির্নয় হতে পারে না। যেহেতু ছাত্রলীগের ট্যাগ আছে, তাই এসব কথা উঠবেই।

সিআইডি বলছে, তুর্ণার সঙ্গে রাজনৈতিক কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তারা।