মনপুরা যুবককে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

মনপুরা প্রতিনিধি :

ভোলার মনপুরার এক সন্তানের পিতাকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবতীর বিরুদ্ধে। আরো ১০ লক্ষ টাকা ও ৮০ শতাংশ জমি ওই যুবতীর নামে লিখে না দিলে এক সন্তানের জনককে তার স্ত্রীর কাছ থেকে বাগিয়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ও মোবাইল ফোনে ওই যুবতী প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছেন যুবকের স্ত্রী ও পরিবারকে। পরকীয়ায় আসক্ত যুবতীর হুমকী-ধামকীতে চরম কলহ বিবাদ ও অশান্তিতে রয়েছে যুবকের পরিবার। তাই অতিষ্ঠ হয়ে যুবকের বাবা বাদী হয়ে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরী করেন।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মনপুরা থানায় এই সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন উপজেলার রামনেওয়াজ ইউনিয়নের কাউয়ারটেক গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক সন্তানের জনক মোঃ আরিফ (৩৪) এর বাবা মোঃ আমজাদ হোসেন (৬০)। মনপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরী নং-৩৬২।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার ধনেশ^রী ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের বাসিন্দা আবিদ হোসেনের মেয়ে মাইমুনা আক্তার মনিকা (২৪) এর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা রামনেওয়াজ ইউনিয়নের কাউয়ারটেক গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আমজাদ হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ (৩৪) এর সাথে।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে একসময় তারা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। বিবাহিত জীবনে আরিফের স্ত্রী ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে জেনেও বিভিন্নভাবে আরিফকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে চান যুবতী মনিকা। এ নিয়ে আরিফের সংসারে কলহ বিবাদ ও অশান্তি লেগেই রয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে যুবতী মনিকা-আরিফের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।


অনুসন্ধানে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার বরুরা উপজেলার মাইমুন আক্তার মনিকার সাথে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার আরিফের পরিচয় হয় তার বন্ধু মনিরের মাধ্যমে। অরিফ মালয়শিয়ায় প্রবাসী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তারা নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তারা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আরিফ দেশে এসে তার বন্ধু মিনহাদ ও কাদেরের সাথে ৩/৪ বার মনিকাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। আরিফের স্ত্রী ও ছেলে সন্তান আছে জেনেও মনিকা বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন।

কিন্তু আরিফ তাতে অসম্মতি জানান। এতেই বেঁধে যায় দ্ব›দ্ব। আরিফ মনিকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেও আরিফের বন্ধু মিনহাদও কাদের অর্থের বিনিময়ে মনিকাকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন আরিফের বাবা আমজাদ হোসেন। আরিফ-মনিকাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ফাঁদে ফেলে আরিফের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন মনিকা।

আরিফের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে মনপুরা থানা পুলিশ আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনপুরা থানায় নিয়ে আসে।

এব্যাপারে মনপুরা থানা থেকে মনিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১০ লক্ষ টাকা ও ৮০ শতাংশ জমির বিনিময়ে বিষয়টি সুরাহা করার প্রস্তাব দেন। এবং অন্যত্র বিয়ে করার কথা জানান পুলিশকে।