ফরিদগঞ্জে রাসেল হাসানের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলাৎকার ও যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা

নিউজ ডেস্ক :

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় রাসেল হাসান নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রকে বলাৎকার ও যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত কিছুদিন যাবৎ ফরিদগঞ্জ এ আর হাই স্কুলের সাবেক এই বিতর্কিত শিক্ষককে নিয়ে তার ছাত্ররা যৌন হয়রানির অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়ের সৃষ্টি করে, যা ছিলো ফরিদগঞ্জ উপজেলার অন্যতম একটি হট টপিক।

গতকাল ১৯ অক্টোবর এই অভিযোগে ভিকটিম তার তার ছাত্র তমাল কৃষ্ণ দাশ তপু, পিতা রণজিৎ চন্দ্র দাশ, সাং কাছিয়াড়া, ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগে বলেন- রাসেল হাসান একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। শিক্ষকতার আড়ালে সে শিক্ষার্থীদের যৌন পীড়নে লিপ্ত হয়।২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত লম্পট শিক্ষক রাসেল হাসান ফরিদগঞ্জ এ আর হাই স্কুলের শিক্ষক থাকা অবস্থায় আমরা ফরিদগঞ্জ ওয়াপদা সংলগ্ন লিলি গার্ডেন হাউজ নামে বাড়ীতে পড়াশুনার সুবিধার্থে ভাড়া থাকতাম ।তখন বিবাদী রাসেল হাসানও একই রুমে থাকতো । এবং সে শিক্ষার্থীদের আদর করার ছলে বিকৃত যৌন হেনস্তা করতো। এসময়ে রাসেল হাসান আমাকে এবং সাক্ষীগণকে যৌন হেনস্তা করে । এবং অনেক ছাত্রীরাও তার যৌন লালসার শিকার হয়। যৌন হেনস্তার শিকার হয়ে আমি মানষিত ভাবে ভেঙ্গে পড়ি এবং আমার বন্ধু ৪ নং বিবাদীও একই ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। আমি বিবেকের তাড়নায় এ বিষয়ে ফেসবুকে বক্তব্য দেই ।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদউল্লাহ বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং এ বিষয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

অভিযুক্ত রাসেল হাসানের এই যৌন হেনস্তার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকলে তাকে ইতমধ্যে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম, ফরিদগঞ্জ ফুটবল একাডেমী, ফরিদগঞ্জ স্পোর্টস ক্লাব, বাজার বাড়ি ফরিদগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ স্টুডেন্ট কমিউনিটি থেকেও তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে ।

২০১৪ এবং পরে ২০১৮ সালে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জের দক্ষিণ কাছিয়াড়া গ্রামের তারই ছাত্রী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ আনে । কিন্তু সাংবাদিক নামধারী এই লম্পট শিক্ষক নানান কলা কৌশলে প্রভাব খাটিয়ে ম্যানেজ করে তথাকথিত তদন্ত কমিটি দিয়ে বরং ঐ ছাত্রীটিকেই ফরিদগঞ্জ এ আর হাই স্কুল থেকে বহিস্কার করায় । এবং তার বিরুদ্ধে কথা বলায় অনেকের বিরুদ্ধে নানান উস্কানিমূলক কর্মকান্ড করে ও হয়রানিমূলক মামলা দেয়।

ভিকটিম তমাল তপু প্রতিনিধিকে জানান, আমরা এতদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু কোনো ফল পায় নি বিধায় এখন প্রশাসনের দ্বারস্হ হয়েছি। প্রশাসন অভিযুক্ত রাসেল হাসানকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা প্রদানে সহায়তা করবে বলে আমরা আশা রাখি।

অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছে এবং এবিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে ফোন দেয়া হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

সূত্র : বিডি সময়ের নিউজ

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

২১ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০৫ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, বুধবার