জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতি দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা

মাজহারুল ইসলাম রাসেল
দুমকি উপজেলা সংবাদদাতা :

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ ও কারাগারে নিহত জাতীয় নেতাদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা এবং কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতে অংশ নেন সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

মোনাজাত শেষে দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, ‘জাতির পিতা ও তাঁর সুযোগ্য চার ঘনিষ্ঠ সহচরের বর্ণাঢ্য ঘটনাবহুল জীবন-প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজনীতি শেখার এক অমূল্য পান্ডুলিপি। তাঁরা আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা ও শক্তি।

রফিকুল ইসলাম জীবন আরও বলেন, নৃশংসতা কোন পর্যায়ে পৌঁছালে, বন্দি অবস্থায় বহিরাগতরা জেলে ঢুকে কাউকে হত্যা করতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা সুপরিকল্পিতভাবে জাতির পিতার মতোই নির্মমভাবে হত্যা করেছিল বাংলাদেশের চার সূর্য সন্তানকে। জেলহত্যা দিবসে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুমকি উপজেলা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র। সেদিনের ওই ঘটনায় দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে জঘন্য ও বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণীর উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে’।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

০৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ১৮ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, মঙ্গলবার