লকডাউনে ‘ক্যাফে ঝীল’ হোটেলে বসিয়ে খাবার পরিবেশন

সাদ্দাম হোসেন ॥ দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে সংক্রমণ উর্ধ্বগতি রিতিমতো লাগামহীন ঘোড়ার মতো বেড়েই চলেছে। এ মাসের প্রথম থেকেই ৭ দিনের জন্য সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু কঠোর লকডাউন আওতায় দিনদিন করোনা পরিস্থিতির প্রতিদিন অবনতি হওয়ায় লকডাউনের সময়সীমা সরকার আরো ৭ দিন বাড়িয়েছে। মানুষের মাঝে সংক্রমণের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।

 

করোনার এ পরিস্থিতিতে এদিকে সরকার ঘোষিত মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত আদেশে খাবার দোকান, হোটেল-রেস্তোঁরাগুলো সময় সীমা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ ও পার্সেলে খাবার বিক্রির বিধান করে দিয়েছেন। কিন্তু চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাঁদপুর শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ইলিশ চত্বরে অবস্থিত ক্যাফে ঝিল হোটেলটি সরকারের বিধি-নিষেধকে তোয়াক্কা না করে দিব্যি হোটেলের ভেতরে নিচতলা ও দোতলায় ক্রেতাদের বসিয়ে খাবার পরিবেশন ও বিক্রি করে যাচ্ছে।

 

অথচ ক্যাফে ঝিলের সামনেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন প্যাভিলিয়নের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযানের সময় অস্থায়ী ক্যাম্প করে থাকেন। ক্যাম্প সংলগ্ন ইলিশ চত্বর এলাকায় ক্যাফে ঝিল হোটল এন্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে স্বাস্থ্যসেবা না মেনে নিচ তলায় ও দোতলায় পার্সেল খাবার সরবরাহের পাশাপাশি সাজানো চেয়ার-টেবিলে বসিয়ে খাবার পরিবেশন করছেন হোটেল কর্মচারীরা।
অথচ চাঁদপুর শহর ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ হোটেল-রেস্তোঁরার মালিকেরা ক্ষতিপূরণের চিন্তা করে বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যদিও বা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি হোটেল-রেস্তোঁরাগুলো খোলা রেখে টেবিলের উপর চেয়ার উপর করে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিয়ে পার্সেল খাবার সরবরাহ করে আসছে।

 

এএমএসএইচ