চাঁদপুরের নদী সীমানায় কোস্টগার্ডের ব্যাপক তৎপরতা

কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সাদিক হোসেন বলেছেন, সরকারের ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে আমাদের নির্ধারিত এলাকায় ২৪ ঘন্টা পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যাতে প্রয়োজন ছাড়া কোনো মানুষ ঘরের বাইরে না আসে। নদীতে একান্ত যাদের মালামাল পরিবহন করতে হয়, তাদেরকে চলাচল করার জন্য সুযোগ দিচ্ছি। বাকি যারা অপ্রয়োজনে নদী পার হওয়ার জন্য আসছে তাদেরকে আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমরা ১শ’ ২টি বোর্ট চেক করেছি। এর মধ্যে ৮শ’ ৩৩ জন ব্যক্তিকে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে পেরেছি। ১১ জুলাই রোববার দুপুরে করোনা সংক্রমণরোধে মাস্ক বিতরণ ও চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকায় টহল অভিযান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, সরকার ১ জুলাই থেকে নদী পথ ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে না যাওয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করছি। তবে ঈদ উপলক্ষে এবং ঈদের পরে মানুষের এ নদী পথ ব্যবহারের প্রবণতা বেশি থাকে। ঠিক এ সময়টাতে আমরা নদী পথ খুলে দিচ্ছি না। কারণ, করোনা ছড়িয়ে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। সে বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।

 

নদী পথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ পাশবর্তী জেলাগুলো থেকে যেনো অবৈধ কোনো নৌযান ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ মেঘনা মোহনা এলাকায় টহল দিচ্ছে।
করোনা সংক্রমনরোধে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে মানুষের মাঝে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি এদিন দুপুরে শহরের পুরাণবাজার, মাছঘাট ও নদী এলাকায় শ্রমিকদের মাঝে সহস্রাধিক মাস্ক বিতরণ করা হয়।

 

এএমএসএইচ