‘ঈশ্বর তুমি বদলে দাও আমায়’

ক্ষুদীরাম দাস :

কখনো কখনো জমাট বাঁধা কষ্টগুলো
বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে আসে,
অথবা নীরব কান্নার কারণ হয়।
‘ঈশ^র তুমি দোষী’ বলে
হৃদয় নিংড়ে বেরুতে চায়
মনের এক কোণে ফেলে সুখগুলোকে
খুঁজে বেড়াই সেই সুখ।
-তখন বলি, ‘ঈশ^র তুমি বদলে দাও আমায়’।

জীবনযুদ্ধের এই মাহেন্দ্রক্ষণে
ক্ষণিকের সুখের তরে পাপের পরিমাণ বাড়াই;
আর তাই তো ধুলোমাখা পথ মাড়িয়ে
পাড়ি দিতে চাই অনেকটা পথ;
তাকাই যখন পিছু ফিরে
ধুলোমাখা পথের ধুলোময় কিছু স্মৃতিগুলো
হাতছানি দিয়ে ডাকে-আর আমি কাঁদি।
আঁধার আমায় মিথ্যে সুখে ভাসাতে চায়।
-তখন বলি, ‘ঈশ^র তুমি বদলে দাও আমায়’।

খুব কষ্ট হয়
হাতড়ে বেড়ানো স্মৃতিগুলো;
শূন্যতা ছাড়া কিছু নয়-
আমি নির্বাক অথবা অবাক হয়ে শুধু ভাবি।
ধুলোগুলোকে ঝেড়ে দিয়ে
স্মৃতিগুলোয় আর পোড়াতে চাইছে না।
-তখন বলি, ‘ঈশ^র তুমি বদলে দাও আমায়’।

আমি, তুমি আমরা সবাই
ইদানিং হয়তো এক যন্ত্রমানব হয়ে উঠেছি;
অন্তরে কষ্ট, হৃদয়ে দমানো অনুভূতিগুলো
তাড়িয়ে বেড়ায় অণুক্ষণে।
যাতনায় জ¦লছি- আমি, তুমি আমরা সবাই।
-তখন বলি, ‘ঈশ^র তুমি বদলে দাও আমায়’।