নারীর জীবন

ইলি বাড়ৈ

আমাদের সেলুকাস দেশে পিঁপড়ে-জীবন নারীর।
নারীর জীবন নিয়ে ভাবার সময় কোথায় ?
পিঁপড়ের সারির মতো পথে নেমে
উইপোকার মতো মরবার ইচ্ছে না থাকলেও
চোখ খুলে কথার খিল এঁটে শুধু সচল থাকা।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম
আর মেহেরুননেসার চেতনাবোধ
নিয়ে জেগে থাকবে শুধুই শাহবাগ ;
মহাকালের পতাকা হাতে।

মোমের সঙ্গে গলে শীলা হয়ে যাচ্ছে নারী
সাথে মানবতার মানচিত্রও !
কতক দখলকারী নরপশুরা আজো
পারফিউম মেখে তীর্থে যাবার পথে।
এখানে সময় একরকম কাকতাডুয়া
তার চেয়েও বেশি হাহাকার নারীর।
এই তো সময় —–
তবু বসে থাকা নয় !
জীবনের সময়গুলো শিশিরকণা
ঝড়ে যায়-তবু থেকে যায় ইচ্ছেরা
ভাসমান পাখির ডানায় রোধ বয়ে যায়।

শিশু, কিশোর, শৈশব পেরিয়ে
অতঃপর যৌবনের পদার্পন,
হে পৌরষত্ব ;
তুমি হও ছড়ানো সকাল-দুপুর।
বেঁচে থাকা আর হারিয়ে যাওয়াগুলো
মেপে দেখা হয় না, মিলিয়ে যায় ;
আঁড়পেড়ে ; গোলাপী শাড়ীপরা নারীর মুখ।
সেই সব চেনা মুখগুলো জট লেগে মিশে যায়
অথচ যে যুগিয়েছে সাহস
যার পদতলে রেখেছিলে চিয়ারী
যে দিয়েছে অন্ন, করেছে লালন-পালন
যার হাত ধরে হয়েছিলে পূর্ণ নর
৯ মাস ১০ দিন শুধুই কি জঠরে ধরে রাখা?
অতঃপর ! মানহানি, অবহেলা, কুটুক্তি আর হেয়ালী।
এইতো নারীর জীবন।