দুই যুগের বেশি শিকলবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন মানসিক প্রতিবন্ধী শিল্পী আক্তার

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর:
২৭ বছর ধরে শিকলবন্দী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মানষিক প্রতিবন্ধী শিল্পী আক্তার। চিকিৎসার অভাবে ফেরা হলো না স্বাভাবিক জীবনে। ২৭ বছরে পা রাখা কিশোরী।

যে বয়সে অন্যদের মতো স্বাভাবিক চলাফেরার কথা, কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস এর আগেই শিকলবন্ধী অবস্থায় মানবতার জীবন কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর লুধুয়া গ্রামের মৃত জোহর আলীর মেয়ে শিল্পী আক্তার। জন্মের পর হঠাৎ প্রতিবন্ধীর মতো হয়ে পড়ে শিল্পী। পরবর্তীতে চিকিৎসার অভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি আর।

স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা করালেও অর্থের অভাবে বারবার তা থেমে যায়। ক্রমেই মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। কিন্তু সুস্থ হয়নি সে, সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র বাবার পক্ষে তার চিকিৎসা সেবা বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সুযোগ পেলেই এদিক-সেদিক চলে যায়। কখনো হাতে কখনো বা পায়ে বেধে রাখা হয় শিল্পী আক্তার (৩৪) নামে এই প্রতিবন্ধীকে। দিনে বাড়িতে গাছের সাথে আর রাতে ঘরে চৌকির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় তাকে।

জানা যায়, শিল্পীর বাবা মা কেউ বেচে নেই। আছে সৎ মা আর ৪ ভাই ২ বোন। ভাইদের মধ্য কেউ মামার বাড়িতে আর কেউবা শশুর বাড়িতে থাকে। কেউ রিকশা চালায় আর কেউ কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে।

বড় ভাই লিটন জানান, অভাবের সংসারে তিনিই একমাত্র উর্পাজনের উৎস। ভাইয়েরা বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। শিল্পীকে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। সহযোগীতার মধ্যে একটি ভাতা কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে তার বরন পোষণ হয়না।

প্রতিবেশীরা বলেন, শিল্পীর বাবা মা নাই। সে অসহায়। অর্থের অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে হতাশায় দিন কাটছে তার পরিবারের।

চিকিৎসা করাতে পারলে সে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারতো। মানসিক প্রতিবন্ধী শিল্পী আক্তারের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পরিবারটি।