ঘুমিয়ে গেছ তুমি?
আমার চোখে ঘুম নেই—ঘুমোতে পারছি নে আমি!
ঘুমালে কানে আসে চিৎকার
মৃত্যুকূপের আর্তনাদ ‘বাঁচাও আল্লাহ’ শব্দ কান্নার॥
চুপ কেন মুসলিমবিশ্ব?
আর কত দেখবে হায়েনার আস্ফাল—কারবালার দৃশ্য!
রক্তের কাফনে ঢাকা মানবতা
দেখতে পারছি নে আর বিশ্ববিবেকের এই নীরবতা॥
চেয়ে দেখ ওরে পাষাণ—
কীভাবে মরছে কোলের শিশু—দুধের বাচ্চা—আদমসন্তান!
শুনে দেখ—শুনতে পাও? পাওনি?
ফিলিস্তিনের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিছে কী বিষাদের ধ্বনি॥
কান্না চেপে রাখতে পারি না আর
আমি নিঃস্ব—আমার ঘরে নেই দেবার মতো সমাহার!
বিশ্বজাহানের জনতা দর্শক যেখানে
আমার চিৎকার বড় হাস্যকর হবে—হতে পারে সেখানে॥
আফসোস! আফসোস!
দুনিয়ার মানুষ নীরব কেন বুঝি না—বুঝি না দোষ!
কে তুমি সাহসী! বীর!
তোমাকে একলা লড়তে হবে—হবেই—পথ নেই পিছুর॥
নিপীড়িতের করুণ-আবেদন—মিনতি—
অসহায় নারী-শিশু—মজলুমের অশ্রু তোমার শক্তি।
‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিধ্বনিতে
আকাশ-বাতাস-মাঠ-মাটি ঢেকে যাক পদধূলিতে॥
দাও ডাক হায়দারি কণ্ঠস্বরে
সালাউদ্দিনের মনোবল ফিরে পাবে শক্তির সঞ্চারে।
ভয় নেই ভয় নেই তোমার
বিজয় নিশ্চিত—নারী-শিশু—মজলুমের যেখানে অত্যাচার॥
আর গাইতে পারছি না গীত
ঘুমন্তকে জাগাব জানা নেই গেয়ে কোন বিষাদের সংগীত।
জয় জয় জয় হবে জয়
তোমাদের জয়—দুঃখ যেখানে বড় সেখানে নিশ্চিত বিজয়॥