তাঁতীলীগের কর্ণধার কে হবে

গোলাম নবী খোকন :

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতীলীগ।১৯৬৫ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া এই তাঁতী সমবায় প্রতিষ্টিত হয়েছিল।

১৯ মার্চ জাতীয় সম্মেলন সফল ও স্থার্থক হোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতীলীগ ।২০০৩ সালের ২৯ মার্চ জন্ম নেয় তাঁতী লীগ ।

সারা দেশে সংগঠনের কমিটি আছে। অবশ্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তাঁতী লীগের কতটি কমিটি আছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি।

সারা দেশে কত সদস্য আছেন, তারও সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি করা হচ্ছে। এখন উপজেলাতেও কর্মসূচি দিলে দুই-তিন হাজার নেতা-কর্মী জমায়েত হন।

২০০৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলেছে দীর্ঘ এক যুগ।২০১৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হয়।

এখন পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি আছে। ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৭০টিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করা হচ্ছে।দেশের যেসব জেলায় তাঁতশিল্প নেই, সেখানেও তাঁতী লীগের কমিটি আছে।

এমনকি দেশের সীমানা পেরিয়ে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরেও কমিটি করেছে তাঁতী লীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী,মোটাদাগে তাঁতী লীগের উদ্দেশ্য তিনটি—১. হতদরিদ্র তাঁতিসমাজসহ পশ্চাৎপদ সব শ্রেণি–পেশার মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলা; ২. তাঁতশিল্প সম্প্রদায় ও বস্ত্র খাতের উন্নয়নের সমস্যা ও অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে বাস্তবসম্মত সমাধানের লক্ষ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; ৩. আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ঘোষিত সব কর্মসূচি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করা।

তাঁতমালিক, শ্রমিক ও তাঁতিসমাজের স্বার্থরক্ষায় আগ্রহী ব্যক্তিদের সংগঠিত করা তাঁতী লীগের অন্যতম লক্ষ্য। এ ছাড়া গঠনতন্ত্রে আরও ৭টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা আছে। সেগুলো হলো, তাঁতি পরিবারকে স্বনির্ভর করতে সচেতন করা এবং তাঁতশিল্পকে লাভজনক খাতে রূপান্তরে যুগোপযোগী কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত তাঁতবস্ত্রের গুণগত মান বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতা বাজারে টিকিয়ে রাখা।

তাঁতবস্ত্রের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করে দেশের ভেতরে ও বহির্বিশ্বে বাজার সৃষ্টি। রপ্তানিনির্ভর জাতীয় বস্ত্রনীতি প্রণয়নে সরকারকে প্রভাবিত করা। তাঁত ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁতীয়দের সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। জাতীয় তাঁত বোর্ড ও তুলা চাষ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে তাঁতী লীগের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত এবং তাঁতিদের মৌলিক অধিকারগুলো প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাজ করা।এসব লক্ষ্যের কথা গঠনতন্ত্রেই সীমাবদ্ধ।এ জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বা মাঠপর্যায়ে কোথাও কোনো কর্মসূচি নেই্।

যতই দিন ঘনিয়ে আসছে তাঁতীলীগ নিয়ে মাথা ঘামছে বাংলাদেশের সর্বস্তরের তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের। আগামীতে তাঁতী লীগের হাল কে ধরতে যাচ্ছেন এই নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছে ফোন আসছে-আগামী দিনে তাঁতীদের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলছেন এবং জানতে চাইছেন যে কে হতে যাচ্ছেন আগামী দিনের তাঁতী লীগের কর্ণধার অর্থাৎ তাঁতী লীগের সভাপতি এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এক নীতিনির্ধারকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আগামী দিনে কে হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতি।

তিনি জানান এই পর্যন্ত তাঁতী লীগ এর বিষয়ে কোন খবরা খবর আমার কাছে নেই। এক নীতিনির্ধারকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান বিষয়টি একান্ত নেত্রীর হাতে-তাই তাঁতী লীগের কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা হচ্ছে না। অধিকাংশ নীতিনির্ধারকরা মনে করেন যুবলীগের মতই তাঁতী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ করা হতে পারে সেটি নেত্রীর ভালো জানেন তবে এই বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করা হয়নি এই নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি কে হতে পারে তাঁতী লীগ আগামী দিনের কর্ণধার বা সভাপতি।তবে প্রস্তাবিত নাম গুলোর মধ্যে কয়েকটি নাম চলে আসে।জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি সাবেক দায়িত্ব প্রাপ্ত ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ তাঁতীলীগ।

সাধনা দাশগুপ্তাকার্যকরী সভাপতি,বাংলাদেশ তাতীঁলীগ। ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শওকত আলী,সভাপতি, বাংলাদেশ তাতীঁলীগ। শেখ কামরুল ইসলাম বিটু,সভাপতি বাংলাদেশ তাঁতী লীগ একাংশ।