৪০টি হাদীস মুখস্থ করার বিরাট ফজিলত জেনে নিন

মিজানুর রহমান রানা :

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন, তাহলে পড়ুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে। দুনিয়া ও আখেরাতে বিরাট ফায়দা হাসিল হবে।

হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে, হে আল্লাহর রাসুল, ইসলামের কোন সীমায় পৌছুলে কেউ ফকীহ বা আলেম হতে পারে? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য তাদের দ্বীনের ব্যাপারে ৪০টি হাদিস ইয়াদ করেছে (এবং অপরকে তা পৌছিয়েছে) কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে ফকীহ রূপে উঠাবেন। এ ছাড়া কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সালী হব। -বায়হাকী, মিশকাত-৩৬

উক্ত হাদীসটি হজরত আলী (রা.) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) হজরত আবু দারদা (রা.) হজরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হজরত জাবের (রা.) ও হজরত আনাস (রা.) প্রমুখ বর্ণনা করেছেন।

হযরত  ইবনে   আব্বাস, আনাস  এবং আবু  হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহুম    কর্তৃক বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে    ব্যক্তি    দীনের    খেদমতে    আমার    হাদিস    থেকে  চল্লিশটি  হাদিস    মুখস্ত  রাখবে  এবং  তা  অন্যের  কাছে  প্রচার   করবে, হাশরের দিন  আল্লাহ্‌ পাক তাকে ফকীহ এবং        আলেমগণের        কাতারে        শামিল       করবেন।” [মুসনাদে     আবু     ইয়ালা,     জামি    বয়ানুল    ইলম     ওয়া ফাদ্বলিহঃ        ১:১৯৪,         কানযুল         উম্মালঃ        ১০:১৩৬ (২৯১৮২)]

ইবনে  উমর   রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহুমা থেকে  বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু     আলাইহি    ওয়াসাল্লাম    বলেন,      যে      ব্যক্তি চল্লিশটি   হাদিস    শিখবে  এবং  আমার    উম্মাহর   নিকট পৌঁছে  দেবে,  কিয়ামতের  দিন    সে  আমার  শাফায়াত   লাভ করবে কিংবা আমি তার জন্য সাক্ষী হবো। [জামি বয়ানুল ইলম ওয়া ফাদ্বলিহঃ ১:১৯৩]

১. উমার ইবনুল খাত্ত¡াব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তাঁর নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থ প্রাপ্তির জন্য অথবা কোনো মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে, সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে, যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে। (সহিত বুখারী-১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাউদ ২২০১, ইবনু মাজাহ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২। সহিহ হাদিস।

২. আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়। (সহীহ বুখারী : ৩২১৫)

৩. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়। (সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা, অনুচ্ছেদ-৩)

৪. রাসূল (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে। (সহীহ বুখারী : ১০৭, সহীহ মুসলিম)

৫. পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ অসন্তুষ্ট। (তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)

৬. পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সলাতের সওয়াব পাওয়া যায়। (সহীহ বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযীঃ ২১৩)

৭. ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে সলাত ছেড়ে দেওয়াই হচ্ছে ব্যবধান। (সহীহ মুসলিম : ১৫৪, ১৫৫, মিশকাত)

৮. ক্বিয়ামতের দিন বান্দার কাজসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম সলাতের হিসাব নেওয়া হবে। (সহীহ তিরমিযী : ৪১৩, ইবনু মাযাহ ১৪২৫)

৯. যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে। (সহীহ বুখারীঃ ৫৪৬)
১০. আল্লাহ্তা’আলার নিকট প্রিয় ওই আমল, যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। (সহীহ বুখারী : ৪১, ৬০২০)

১১. যে ব্যক্তি (পুরুষ) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী। (সহীহ বুখারী: ৫৩৭১, মিশকাত, হা/৪১২৫)

১২. কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে। (বুখারী, হা/৫২৮৬ ও মুসলিম)

১৩. নবী করীম (সাঃ) মিষ্টি ও মধু খুব ভালোবাসতেন। (বুখারী, হা: ৫২৮০)

১৪. যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষণ (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। (সহীহ বুখারী : ৪৬৯৭)

১৫. যে ব্যক্তি বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্তা’আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব স¤প্রদায়ের লানত। (সহীহ বুখারী : ৬৮০৮)

১৬. যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ ঈমান আছে, সে জাহান্নামে যাবে না। আর যার অন্তরে সরিষা সমপরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না। (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৮)

১৭. যে ঘরে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সহিহ বুখারী: ২৯৯৮, মিশকাত ৪২৯৮)

১৮. তিন ব্যক্তির দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ করুণার দৃষ্টি দিবেন না ও তাদের জন্য কঠিন শাস্তি: (ক) গাটের নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ (খ) খোটাদানকারী (গ) মিথ্যা কসমে পণ্য বিক্রয়কারী। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৭৩)

১৯. যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি জিহাদের আকাক্সক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল। (সহীহ মুসলিম : ৪৭৭৯, নাসায়ীঃ ৩০৯৯)

২০. আত্মীয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করলে রিযিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায়। (সহীহ বুখারী : ৫৫৫৯,৫৫৬০)

২১. কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি। (সহীহ বুখারী, হা/১৪৬৯, সহীহ মুসলিম , সহীহ আবু দাউদ, হা/১৬৪৪)

২২. বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে (সত্তর হাজার) ওইসব লোক, যারা অশুভ-অমঙ্গল চিহ্ন মানে না, যারা ঝাড়-ফুঁক করায় না, যারা মন্ত্রতন্ত্রের ধার ধারে না এবং আগুনে পোড়া লোহার দাগ লাগায় না; বরং সদা সর্বদা তাদের পরোয়ারদেগারের উপর পূর্ণ ভরসা রাখে। (সহীহ বুখারী, হাদিস ৫৩৪১,৬২৮,৬০৯৯)

২৩. যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। (সহীহ মুসলিম : ৪৭৭৮)

২৪. যখন কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু’আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরূপ হবে। (সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ, হাঃ ১৫৩৪)

২৫. কোনো ব্যক্তির মন্দ হওয়ার জন্য অশ্লীল বাকচারী ও কৃপণ হওয়াই যথেষ্ট। (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৬৯৩)

২৬. রাসূল (সা.) বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান, ত্বাবরানী, আল্লামা আলবানী রহ.)

২৭. যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূর্ণাঙ্গরূপে সম্পন্ন করে, তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (সহিহ মুসলিম: ৪৬০, তিরমিযী: ৫৫, ইবনু মাযাহ : ৪৭০)

২৮. যে ব্যক্তি দিবসে ১বার ও রাতে ১বার আন্তরিকতার সাথে সয়্যোদুল ইস্তেগফার পাঠ করে যদি সে দিন বা রাতে মারা যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি জান্নাতি। (সহিহ বুখারী-৫৮৬৭)

২৯. ওযু করার সময় কেউ যদি উত্তমরূপে ওযু করে তাহলে তার শরীরের সব গুণাহ বের হয়ে যায়। এমনকি তার নখের নিচের গুণাহও বের হয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম : ৪৮৪, ৪৮৫)

৩০. রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম যে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারীঃ ৪৬৬১, ৪৬৬২)

৩১. কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তি উচ্চমর্যাদা ফিরিশতাদের সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পড়ার সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (সহীহ বুখারী-৪৯৩৭, মুসলিম আবু দাউদ -১৪৫৪ ক্বাতাদাহ হতে)

৩২. রাসূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত না বসে। (বুখারী হা/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হা/ ৭১৪ ; তিরমিযী হা/ ৩১৬ ; নাসাঈ হা/ ৭৩০ ;

৩৩. রাসূল (সাঃ) বলেছেন : আমার প্রত্যেক উম্মতের গুণাহ মাফ হবে, তবে যে গুণাহ করে বলে বেড়ায়, তার গুনাহ মাফ হবে না। (সহীহ বুখারী : ৫৬৪৩, সহীহ মুসলিম : ৭২৬৭)

৩৪. ইউসায়রাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী (সাঃ) তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন : তোমরা তাকবীর, তাকদীস এবং তাহলীল এগুলো খুব ভালভাবে স্মরণে রাখবে এবং এগুলোকে আঙ্গলে গুণে রাখবে। কেননা আঙ্গুলগুলোকে জিজ্ঞাসা করা হবে এবং এগুলোও সেদিন (ক্বিয়ামতে) কথা বলবে। [(আবু দাউদ ১৫০১, আলবানীর মতে হাসান, তিরমিযী, ৩৫৮৫, আহমাদ, ৬/৩৭০)]

৩৫. যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো ব্যক্তির দোষ-ত্রæটি গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলাও তার ত্রæটি গোপন রাখবেন। (সহীহ মুসলিমঃ ৬৩৯২,৬৪০৮,৬৩০৯)

৩৬. বিদাতী হাউজে কাওছারের পানি পাবে না। (সহীহ বুখারীঃ ৬১২৭,৬৫৭৩, মুসলিমঃ ৫৭৯৯, ৫৮০২, ৫৮০৩)

৩৭. যে ব্যক্তি নম্রতা ও সহনশীলতার বৈশিষ্ট্য থেকে বঞ্চিত সে কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। (সহীহ মুসলিম : ৬৪১২)

৩৮. মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল ‘দ্বিমুখী ব্যক্তি’। তারা এদের কাছে বলে এক কথা আর ওদের কাছে বলে আর এক কথা। (সহীহ বুখারী : ৬৬৯০)

৩৯. নেশা সৃষ্টি করে এমন যে কোনো পানীয় হারাম। [সহীহ বুখারী : ৫২৫৮, সহীহ মুসলিমঃ ৫০৫১, ৫০৫৪]

৪০. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝখান (অর্থাৎ জিহŸবা) এবং দু’পায়ের মাঝখান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান)-এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হব। [সহীহ বুখারী ৬০৩০, মিশকাত ৪৬০১]

৪১. ঈমানের সত্তরের কিছু বেশী শাখার মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলা এবং সাধারণ শাখা হচ্ছে চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াা। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের একটি বিশেষ শাখা। [সহীহ মুসলিমঃ ৬১]

৪২. মুনাফিকের আলামত তিনটি : মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা ও আমানতের খিয়ানত করা। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৪৩. রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আমি সর্বশেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী জন্ম নিবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৪৪. যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহতায়ালা তার ওপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন। (সহীহ মুসলিম)

৪৫. রাসূল (সা.) বলেন, মল্লযুদ্ধে কেউ কাউকে হারিয়ে দেওয়া বাহাদুরি নয়। বরং প্রকৃত বাহাদুরতো হলেন ওই ব্যক্তি, যে ক্রোধের সময়ও নিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৪৬. এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে: সালামের উত্তর দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, মারা গেলে জানাযায় শরীক হওয়া, দাওয়াত দিলে কবুল করা ও হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৪৭. যে মানুষের ওপর দয়া দেখায় না, আল্লাহ তার ওপর রহম করেন না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৪৮. তুমি দুনিয়াত বসবাস করো মুসাফির বা পথিকের ন্যায়। (সহীহ বুখারী)

৪৯. যে ব্যক্তির অনিষ্টতা থেকে প্রতিবেশি নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে যেতে পারবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৫০. রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সুন্দর। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৫১. দান-সদকা দ্বারা মাল কমবে না। যে ব্যক্তি অন্যের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে, আল্লাহ তায়ালা তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিচু হয়, আল্লাহতায়ালা তার মাকাম উঁচু করে দেন। (সহীহ মুসলিম)

৫২. পরিবার-পরিজনের জন্য মাল খরচ করলেও সদকার ছওয়ার লাভ হয়। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৫৩. চার বিষয় দেখে সাধারণত বিবাহ করা হয়- মাল, বংশ, সৌন্দর্য ও দ্বীনদারী। তোমরা দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিও। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৫৪. বিধবা ও ইয়াতীমকে সাহায্যকারী, আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায় সওয়াব লাভ করবে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৫৫. দুই ব্যক্তির ওপর ঈর্ষা হতে পারে। ১. যে ব্যক্তি সম্পদের মালিক হয়ে, তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার তাওফীক পায়। ২. যাকে আল্লাহতায়ালা জ্ঞান দিয়েছেন, আর সে তা দ্বারা বিবাদ মিটায় ও অন্যকে শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারী)

৫৬. প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত ও জবান থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (সহীহ বুখারী)

৫৭. মুসলমানকে গালি দেওয়া কবীরা গুনাহ আর তাকে হত্যা করা কুফুরী। (বুখারী)

৫৮. লজ্জা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা। (বুখারী)