স্বরূপকাঠিতে লোহার ব্রিজের ওপর সাঁকো দিয়ে তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াত

স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি :
স্বরূপকাঠিতে প্রায় ৫০ বছর আগে একজন মহৎ ব্যক্তির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মান করা একটি লোহার পুল মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৪০ মিটার দীর্ঘ ও ছয় ফুট প্রস্থ লোহার পুলের উপরাংশ অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। ওপরের অংশ ভেঙে যাওয়ায় বাশ ও কাঠের সাঁকো বানিয়ে তিন গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। দৈহারী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নের সীমানা খালের এক পাড়ে কাটা দৈহারী ও অপর পাড়ে ভরতকাঠি এবং গুয়ারেখা গ্রামের মানুষের বসবাস। ওই পুল পাড় হয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজে যাতায়াত করতে হয়। পুলের ছাউনি না থাকায় ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী দৈহারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বালক ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিন জানাগেছে ৭০ দশকের প্রথম দিকে ভরতকাঠি গ্রামের মরহুম মেহের আলী ফকির দুই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য নিজের টাকায় একটি লোহার পুল নির্মান করে দেন। রেল পাটির খুঁটি ও ভীমের ওপর নির্মান করা পুলের উপরের অংশের প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। পুলের ছাউনিসহ উপরের অংশ ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বাশ ও কাঠের টুকরা দিয়ে সাঁকো বানিয়ে কস্ট করে যাতায়াত করছেন।

গুয়ারেখা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফোরকান গাজী রুবেল বলেন, সীমানার খালে পুল হওয়ায় দুই ইউনিয়নের আগের কোনো চেয়ারম্যান এটি মেরামত করার উদ্যোগ নেয়নি। গুরুত্বপুর্ন এ পুলটি মেরামতের জন্য দাবী জানান ওই ইউপি সদস্য। এ বিষয় দৈহারী ইউপির চেয়ারম্যান জাহারুল ইসলাম বলেন,সবেমাত্র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি।

আমি চেষ্টা করব যাতে পুলটি মেরামত করা যায়। পুলটি মেরামতের জন্য এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মীর আলী শাকির এর দৃস্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,ওই পুলটি মেরামতের জন্য দুই ইউপির কোনো চেয়ারম্যান কখনই কোনো স্কীম দেয়নি। এলাকার একজন লোক দিয়ে একটি আবেদন করানোর ব্যবস্থা করলে তিনি উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে পুলটি মেরামত করার জন্য গুরুত্ব সহকারে চেস্টা করবেন বলে জানান ।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?