দুর্গাপূজাকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা পরিকল্পনা!

নিউজ ডেস্ক :
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে গোপনে নাশকতার ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। আর এ কাজে তারা কয়েকটি গোষ্ঠীকে বিপুল অংকের অর্থায়ন করেছে। প্রয়োজনে এই খরচ আরও বাড়ানো হবে যদি সম্ভাব্য পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করার সুযোগ থাকে, এমনটাই জানা গেছে।

১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শোনা গেছে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের অস্থিতিশীলতার খবর। চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধীন একটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা নামানোর সময় হঠাৎ একটি গোষ্ঠীর অতর্কিতে হামলায় দুর্গা প্রতিমার হাত ভেঙে গেছে।

এছাড়াও কুমিল্লায় একটি পূজা মণ্ডপের বাইরে থিম হিসেবে স্থাপিত হনুমান মূর্তির পায়ের কাছে গভীর রাতে কে বা কারা এক খণ্ড পবিত্র কোরান শরিফ রেখে গেছে- এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে উসকানি দেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ নিয়ে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির খবরও পাওয়া গেছে। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিজিবিসহ কয়েকটি সংস্থার সদস্যগণ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছেন।

আগামী ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছিল উৎসবের আমেজ। এমতাবস্থায় পূজায় বিশৃঙ্খলা-হট্টগোলের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির গভীর পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। এরইমধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের উসকানিতে পূজা উদযাপনে বিষাদগ্রস্ত একটি পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

নাশকতার উদ্দেশ্যে অনলাইন ও অফলাইনে আলাদা আলাদা টিমে কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। তাদের পেছনে তারেক রহমানের নির্দেশনায় অর্থায়ন করেছেন এক ডজন বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী। জামায়াতের নিজস্ব ফান্ড থেকেও অর্থায়ন করা হয়েছে সমমনা অপর কয়েকটি সংগঠনের পেছনে। যাদের নেতৃত্বে জামায়াত ও শিবিরের ক্যাডাররা কাজ করছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি বিএনপির রুদ্ধদার বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনো মূল্যেই হোক আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ভোটের দুর্গে আঘাত হানতে হবে। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনোবলে চিড় ধরাতে হবে, তাদের নিরাপত্তা বিঘ্ন করে হলেও যেন সরকারের ব্যর্থতা এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি সরকারের উদাসীনতার বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে।

এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা না পায়, সেজন্য কৌশলে কাজ করারও নির্দেশ দেয়া হয় বৈঠকে। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী মহলকে বলা হয়েছে এসব খাতে যেন পর্যাপ্ত অর্থের যোগান দেয়া হয়। দুর্গাপূজায় অস্থিরতা সৃষ্টি করলে বহির্বিশ্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। সেই সুযোগটাকে ইস্যু বানিয়ে আন্দোলনে নেমে সরকারের পতন ঘটাতে চান তারেক রহমান।

এমতাবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের মতো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও তার দোসররা তলে তলে ভয়াবহ প্রস্তুতি নিচ্ছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চেষ্টা করছে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে। তাই সবাইকে সদা সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনভাবেই এই অসৎ উদ্দেশ্য সাধিত না হয়।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা