জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে অনেক হয়রানি হচ্ছে: মন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :

জন্ম নিবন্ধনের সময় সাধারণ ভুলের কারণেও মানুষকে যে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, সে কথা স্বীকার করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “হয়ত কেউ একটি চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু সেখানে যোগ দিতে পারছেন না ওই ভুলের জন্য। হয়ত এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন তাকে ঘুরতে হচ্ছে। এদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।”

জন্ম নিবন্ধন বা সনদের সংশোধনের সময় কেউ হয়রানির শিকার হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, “আমি যদি তাকে (জন্মনিবন্ধনকারী) হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে পারি, তাহলে তো সে তার নিজের কাজে ঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারে। বিষয়টি এখন ‘বার্নিং ইস্যু’।

“এ ব্যাপারে কাউকে হয়রানি না করতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো স্তরে (জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রমের) যদি জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হয়, কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না “

মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধনের বিষয়টি কীভাবে আরও সহজ করা যায়, মানুষের ভোগান্তি কমানো যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।

জন্ম নিবন্ধনে এখনও ‘অসংখ্য’ ভুল থাকে মন্তব্য করে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন তাজুল ইসলাম।

জন্ম নিবন্ধনে কেন এত ভোগান্তি?

জন্ম নিবন্ধনের নতুন শর্তে ভোগান্তি

তিনি বলেন, “এটা বলা যাবে না যে তিনি (জন্মনিবন্ধনকারী) অশিক্ষিত বলে ভুল দিয়েছে। আপনি (কর্মকর্তা) তো শিক্ষিত। তিনি অশিক্ষিত বলেই তো আপনাকে এখনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য তো আপনি কমিটমেন্ট দিয়ে বসেছেন, আমি কমিটমেন্ট দিয়েছি। আমার কাজ যদি আমি না করি, তাহলে আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারব না।”

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নতুন সার্ভার বসানোর কারণে জন্ম নিবন্ধেনের কাজ মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও এখন আবার চালু হয়েছে।

“সিস্টেম শাট ডাউন ছিল, এখন চালু হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। তারা নিজেরাই দেখভাল করছে।”