কুরবানির বিধান

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার।আর এজন্যই আমরা তার প্রশংসা করি।তার নিকট সহায্য,ক্ষমা,প্রার্থনা এবং সর্বদা তারই উপর ভরসা রাখি।আমরা মহান প্রভুর নিকট আশ্রয় কামনা করছি আমাদের নফসের অন্যায় আচরণ এবং খারাপ আমলের অনিষ্ট হতে।
বস্তুতঃ-মহান আল্লাহ যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারেনা।

আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন পৃথবীতে এমন কেউ নেই যে তাকে হেদায়েত করবে।সুতরাং আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কোন উপস্য নেই,তিনি একক এবং তার কোন শরিক নেই।আমরা আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-আল্লাহর বান্দা এবং প্রিয় রাসূল। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে সুসংবাদদাতা ভীতি প্রদর্শক,আল্লাহ তায়ালার প্রতি আহবানকারী ও আলোদানকারী প্রদীপ রুপে সত্য ইসলামসহ প্রেরণ করেছেন।

হে মানবজাতি বন্ধুগণ! তোমরা তোমাদের প্রভুর নামে চতুস্পদ জন্তু জবেহ করো। আর জিলহজ্জ মাসের ১০-তারিখ কোরবানির জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করো।কেননা,
ঐ তারিখ আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা প্রিয়তম আমল।

আমরা হানাফীদের নিকট কোরবানি সক্ষমতার শর্তে ওয়াজিব প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমানগণের উপর।
যিনি হবেন মুকিম বা স্থানীয়,প্রাপ্ত বয়স্ক ও জ্ঞানবান।
যখন সে কোরবানীর দিনগুলোতে মৌলিক প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যতীত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে।

তবে,তার উপর কেবলমাত্র নিজের পক্ষ হতে কোরবানি করা ওয়াজিব।ঈদুল ফিতরের সদকার ন্যায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান ও দাস-দাসীর পক্ষ থেকে কোরবানি করা ওয়াজিব নয়।

এ সংক্রান্ত হাদীসে রাসূল (সাঃ)-বলেনঃ-“যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্তেও কোরবানি করেনা,সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়”(আহমদ ও ইবনে মাজাহ)।এ ধরনের ধমক কেবল ওয়াজিব বর্জন করার ব্যাপারেই হতে পারে।

অপর এক হাদীসে রাসূল (সাঃ)-কুরবানি কে পুনরায় করার নির্দেশ দিয়েছেন “যে ব্যক্তি ঈদুল আযহার নামাজের পূর্বে কুরবানি করেছে সে যেন নামাজের পরে পুনরায় কোরবানি করে”।কেবলমাত্র ওয়াজিব ছুটে গেলেই উহা পুনরায় করা হয়,সুন্নত বা নফল ছুটে গেলে উহা পুনরায় করার প্রয়োজন হয় না।

কুরবানীর বিধান হলো এই যে প্রত্যেকে একটি বকরি একটি গরু অথবা একটি উট কুরবানী করবে অন্যথায় গরু ও উটের এক সপ্তমাংশে শরিক হবে।আর মহিষ গরুর হুকুমে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি কুরবানী করতে ইচ্ছা পোষণ করবে তার জন্য মুস্তাহাব হলো সে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উদিত হলে নখ,চুল ও গোফঁ কর্তন করবে না।
যতক্ষণ পর্যন্ত কুরবানী না করে।

মোঃ-রফিকুল ইসলাম (রানা)।
শিক্ষার্থীঃ-ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।