তেলের দাম বাড়ায় ব্যক্তিগত যানবাহন চালকদের ক্ষোভ

মাজহারুল ইসলাম (রুবেল), ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মাদারীপুর

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানের ফিলিং স্টেশনগুলোতে আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে। একাধিক ফিলিং স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণত সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মোটরবাইকের জন্য যে পরিমান তেল বিক্রি হতো, তা প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম এসেছে তেলের জন্য। এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধির খবর শুনে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তেলের স্টেশনগুলোতে বেশ চাপ ছিল মোটরসাইকেলের। শনিবার সকাল থেকে পাম্পে তেল বিক্রি কমে গেছে বলে একাধিক ফিলিং স্টেশন সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে শনিবার সকালে শিবচরের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশন ঘুরে জানা গেছে এই তথ্য।

তেল নিতে আসা মো.আরিফ নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন,’ তেলের দাম হঠাৎ করেই আকাশ ছুঁয়েছে। গতকাল অনেকেই তেল নিয়েছে পাম্প থেকে। আমি গিয়ে আর নিতে পারি নাই। সকালে বাড়তি দাম দিয়ে তেল নিলাম। আমাদের আয় তো বাড়ছে না। অথচ ব্যয়ের পাল্লা দ্রুত ভারি হচ্ছে।’

এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন নাঈম ফিলিং স্টেশনে তেলের জন্য আসা আরেক মোটরসাইকেল চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,’লিটার প্রতি এত টাকা বৃদ্ধি কোনভাবেই কাম্য নয়! আজ মাত্র দুই লিটার তেল নিলাম। গাড়ি চালানোই বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া উপায় নাই!’

জানা গেছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে খবর ছড়িয়ে পরলে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মাদারীপুর ইউসুফ ফিলিং স্টেশন, সার্বিক ফিলিং স্টেশন, আড়িয়াল খাঁ ফিলিং স্টেশন পেট্রোল পাম্পগুলোতে হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালকদের ভিড় বাড়ে। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কথা শুনে পেট্রল পাম্পগুলোতে ভিড় করতে শুরু করেন মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ তেল চালিত ছোট যানবাহনের চালকেরা। যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে তেলের পরিমান কমিয়ে দেয় পাম্প কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে ২০০ টাকার তেল দিলেও পরে ১০০ টাকার বেশি তেল দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ফিলিং স্টেশনগুলোতে।

হঠাৎ করে এভাবে জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এদিকে শনিবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। স্টেশনগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বিক্রি বেশ কমেছে। দীর্ঘক্ষণ পর পর দুই/একটা মোটরসাইকেল এলেও ১০০/২০০ টাকার তেল নিচ্ছে।

শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন নাঈম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন,’তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সকাল থেকে বিক্রি কমেছে। যারা আগে ৫শত টাকার তেল নিতো তারা নিচ্ছে ২০০ টাকার। অনেকে আবার ফিরেও যাচ্ছে। একান্তই যাদের দরকার হচ্ছে তারা অল্প টাকার তেল কিনছেন।’