সাংবাদিক সোহেল কিরণের উপর হামলা কেন?

মিজানুর রহমান রানা :

গত ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি. রাতে বাংলা টিভির সাংবাদিক ও রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং প্রিয় সময়ের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল কিরণের উপর রূপগঞ্জের কলি বাহিনীর সদস্য আফজাল ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়।

পরে সাংবাদিক সোহেল কিরণ রোববার স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে থানায় গিয়ে হাজির হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। থানায় তিন ঘণ্টা থাকার পর পুলিশ পাহারায় সোহেলকে আবার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

‘আমাকে থানায় আশ্রয় দিন। ওরা আমার ওপর আবার হামলা চালাবে। আমি বাঁচতে চাই, বাঁচতে দিন।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে এমনভাবে পুলিশের কাছে সহায়তা চাইছিলেন উপজেলাটির কাঞ্চনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক সোহেল কিরণ। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি।

রোববার স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে সোহেল থানায় গিয়ে হাজির হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। থানায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করার পর পুলিশ পাহারায় তাকেকে আবার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার কাঞ্চন মধ্য বাজার এলাকায় সোহেল কিরনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। এ ঘটনায় কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি ও তার সহযোগী আফজালসহ অজ্ঞাত আরও ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন আহত সাংবাদিকের ছোট ভাই।

তবে পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে মানববন্ধন করে আসছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।

আহত সাংবাদিকের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কলি ও তার লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন। তাই বড় ছেলে সোহেলসহ পুরো পরিবার নিয়ে থানায় হাজির হয়েছি।’

সাংবাদিক সোহেল বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কলি, আফজালসহ তার বাহিনীর লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। মামলা করার পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং মামলা করে আমরা উল্টো বাড়তি আতঙ্কে আছি। তাই প্রাণ বাঁচাতে থানায় গিয়েছি আশ্রয় নিতে।’

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (রূপগঞ্জ) আবির হোসেন বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। সাংবাদিক কিরণকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পলাতক আসামিদের ধরতে তাদের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সাংবাদিকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুনরায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’