ভোলায় ১০ হাজার শ্রমজীবী পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন জেলা প্রশাসক

ভোলা প্রতিনিধি :
দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশের জনগনকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ নির্দেশ মানতে গিয়ে বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এ পরিস্থিতিতে ভোলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক শ্রমজীবী পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্দ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ভোলা শহরের বাপ্তা ইউনিয়নের শ্রমজীবী পরিবারগুলোর বাড়িতে গিয়ে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু ও ২ কেজি করে ডাল বিতরণ করেছে।

এ খাদ্য সামগ্রী এক যোগে ভোলার সাতটি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভার মোট ১০ হাজার শ্রমজীবীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এসময় তিনি কয়েকটি পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন এবং একটি পরিবারকে সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন।

এসময় অন্যনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মো. মামুন আল ফারুক, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়ানুর রহমান বিপ্লবসহ আরো অনেকে।

/
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ভোলার প্রায় ১০ হাজার শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু ও ২ কেজি করে ডাল বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দিচ্ছি। পর্যায়েক্রমে এসকল শ্রমজীবী মানুষকে আরো খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরো জানান, ভোলায় কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী ও কেউ আইসোলেশনে নেই। ভোলায় মোট ৪১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮৯ জন ইতোমধ্যে রিলিজ পেয়েছে। আকী যারা আছে তারা কয়েক দিনের মধ্যে রিলিজ পেয়ে যাবে। এছাড়াও যারা ঢাকা থেকে এসছে তাদেরকেও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

ভোলার সকল হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেয়ে হাসপাতালগুলো তুলানামূলক জ্বর, সর্দি ও কাঁশির রোগী কম। সব দিক থেকে ভোলার পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। জেলা প্রশাসন, নৌ বাহিনী, জেলা পুলিশসহ আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে মানুষ ঘরে থাকে।