করোনার করুনা ছাড়া বাঁচার উপায় দেখছে না বরিশালবাসী!

মনির সাকী, ঝালকাঠি :

চলামান করোনা ভাইরাসের মহামারীতে যখন প্রাণের ভয়ে মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে তখন এক প্রকার না খেয়েই কাটছে অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রা।

রাজাপুর উপজেলায় সরকারি বরাদ্দের চাল আলু বিতরণ হলেও প্রকৃত দাবিদারদের অনেকে না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ মার্চ ২০২০ খ্রি. তারিখ পুটিয়াখালীতে ত্রাণ দিলেও তা ভাগ্যে জোটেনি রিক্সাচালক অসহায় মো. এমদাদুলের ৬ সদস্যের এই পরিবারের।

gif maker

তার স্ত্রী মোসা. মাহামুদা অভিযোগ করে বলেন আমরা ইউ.পি মেম্বারকে নাম দেয়া সত্ত্বেও এখনো কোন প্রকার ত্রাণ সহায়তা পায়নি। আর পাওয়ার আশ্বাসও কেউ দেয়নি। আমরা খুব অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে ৭ ঘন্টার ব্যবধানে বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে ২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু নিয়ে চলছে তোলপাড়।

জানাগেছে গত ২৯শে মার্চ ৭ ঘন্টার ব্যবধানে এই ঘটনা ঘটে। এতে একজন রোগীর পরিবার লাশ নিয়ে পালিয়ে যায়। বরিশালসহ জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষাগার থাকলেও ছিলোনা করোনা পরীক্ষার কিট।

গতকাল শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এসে পৌছেছে করোনা পরীক্ষার সামগ্রী। করোনার কাছে মানুষ করুনা চেয়ে বাঁচা ছাড়া উপায় দেখছেনা বরিশালবাসী। শুধুমাত্র উপসর্গ থেকে নিশ্চিত হওয়াগেছে করোনা রোগীর সম্পর্কে। এতোদিনের গ্লানি মুছে দিতে গতকাল আসা করোনা সামগ্রী হয়তো আশা জাগাবে বরিশালবাসীকে এ ভাষায়ই ব্যক্ত করেন বরিশালবাসী।