ঘরে চাউল-ই নাই, ইলিশ পামু কই !

মনির সাকি :

“মাছে ভাতে বাঙ্গালী” কথাটা এক সময় বলা চললেও করোনা এসে তা মুছে দিয়েছে। করোনার প্রভাব দিনে দিনে সাধারন দিন মজুর থেকে শুরু করে মধ্য বিত্তদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো এখন মরতে বসেছে ক্ষুধার জ্বালায়।

দেশের নানাস্থান থেকে ক্ষুধার যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে ১০-বছরের কিশোরী থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধার আত্মহত্যার সংবাদ আসছে দুঃখ জনকভাবে। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রান বরাদ্দ হলেও এখনো পৌছেনি ঝালকাঠির ৯০% গরীব ও অসহায়দের কাছে।

প্রতিনিয়ত খবর আসছে নেতাদের চালের খনির। এসব চোরাই চাল আর চোরদের গতি হলেও অসহায় মানুষগুলো বে-সাহারা হয়ে পড়ছে। ঝালকাঠির রাজাপুরের কয়েকটা বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় ক্ষুধাতুড়দের মর্মান্তিক করুন দৃশ্য।

তারা অক্ষেপ করে বলেন আমরা করোনায় নয় ক্ষুধায় মরতে বসেছি। ছেলে-মেয়েগুলো কান্না করতেছে ক্ষুধার যন্ত্রনায়, তাদের মুখে এক মুঠো অন্যের জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।

খালি খবর শুনি সরকার এই বরাদ্দ, সেই বরাদ্দ কিন্ত আমাদের কপালে একমুঠো ভাত বরাদ্দ পাইনা। আজ পহেলা বৈশাখেও অনেক ঘরে পান্তা-ইলিশ তো দুরে থাক, একটা আলু-ভর্তাও জোটেনি। এমনই এক অসহায় গরীব মহিলাকে পান্তা-ইলিশ খেয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করায় সে বলল” বাবা ঘরে চাউল-ই নাই, ইলিশ পামু কই” ! দিনমজুর থেকে শুরু করে অসহায় মানুষগুলো দাবি করে বলেন আমরা সরকারের কাছে আমাদের ত্রাণসামগ্রী গুলো অতি স্বত্তর আমাদের কাছে পৌছানো হোক অন্যথায় না খেয়ে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।