যে অনুধাবন বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানকে ভালো খেলতে সাহায্য করছিল

মো: রাব্বিউল ইসলাম, বরিশাল :

সাকিব আল হাসান ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৪টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি ।

তবে তিনি তার বিশ্বকাপের সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন ২০১৯ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস বিশ্বকাপে যেটা পারেন নি আগের তিন বিশ্বকাপে।

২০১৯ বিশ্বকাপ নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ার সেরা । সাকিব আল হাসান ব্যাটে বলে ছিলেন দুর্দান্ত। ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১১ উইকেট তার জলন্ত প্রমান।

তার কাছে পাত্তা পায়নি অস্ট্রেলিয়ার পেস কিংবা আফগানিস্তানের স্পিন। তার জাদুকরী ব্যাটিং এ দক্ষিণ আফ্রিকার মত দল পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের কাছে । ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন শতাধিক রানের পাহাড় ঠেলে দল কে জিতিয়েছেন লিটন কে সঙ্গী করে গড়েছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জুটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

কিভাবে বিশ্বকাপে নিজেকে এমন ধারালো করলেন সাকিব? সাকিব আল হাসান এর পেছনের গল্প জানিয়েছেন ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের একটি লাইভ আড্ডায় । তিনি জানিয়েছেন ছোট্ট একটি অনুধাবনই তাকে বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি বদলে দেয়।

আগের তিন বিশ্বকাপ খেলে করেছিলেন ২১ম্যাচে ৫৪০ রান আর বল হাতে ২৩ উইকেট। এ পরিসংখ্যানটাই নাকি বিশ্বকাপের আগে সাকিব কে ভাবতে বাধ্য করেছিল , আগের তিন বিশ্বকাপে কখনোই আমি সামর্থ্যের পুরোটা দিতে পারিনি । সুতরাং আমি ভাবলাম ২০১৯ বিশ্বকাপে আমাকে দারুন কিছু করতে হবে।

এমন ভাবনা ভাবতে ভাবতেই ২০১৯ আইপিএল খেলতে যান সাকিব আল হাসান । সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে সেই আইপিএল মোটেও সুখকর হয়নি সাকিব আল হাসানের ।

একাদশ থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন তিনি । দুটি ম্যাচ খেলার পর আমার মনে হল দলে যে সকল বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছেন তাতে আমার একাদশে থাকা অনেক কঠিন ।

তাই আমি আইপিএলেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সারতে চেয়েছিলাম এবং আমার কোচ সালাউদ্দিন স্যারকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাই। এবং তার অধীনে দুই সপ্তাহ নিবিড় অনুশীলন করি।

আমি সবসময়ই সালাউদ্দিন স্যারের সাথে অনুশীলন করতে নির্ভার বোধ করি । মানসিক শান্তি পাই । দু একটা পরামর্শ বা একটা ছোট পরিবর্তনই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি ছোটবেলা থেকে যে কোচরা আমাদের শিখিয়েছেন তারা আমাদের অনেক দুর্বলতা সম্পর্কে জানেন ।

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয় এবং ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়লাভ করে এবং ওই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান ।

সাকিব বলেন ওই সিরিজেও আমার মন পুরোপুরি পরেছিল বিশ্বকাপের দিকে। আমি সব সময় চোখের সামনে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ দেখতে পাচ্ছিলাম। হার্শা ভোগলেকে আরও বলেন বিশ্বাস করুন ওইসময় যখন আমি উড়োজাহাজে ছিলাম তখনও আমি বিশ্বকাপ নিয়ে ভেবেছি। আর এগুলোই বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান কে ভালো খেলতে সাহায্য করে।