ভোলা মনপুরা উপজেলার এক মানবিক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল

 

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি :
প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল।

তবে ব্যতিক্রমধর্মী এক মানবিক চেয়ারম্যানের দেখা মিললো ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে। তিনি হলেন চরফ্যাশন সরকারি কলেজের সাবেক মেধাবী ছাত্র ও চরফ্যাশন ছাত্রলীগের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন মনপুরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক,সেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালিনী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান মনপুরা উপজেলায় আ’লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পর পর দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল।

মনপুরা জাতি বর্ণ ভুলে, কর্মহীন হয়ে পড়া ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ালেন দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল।দক্ষিণ সাকুচিয়া অভাবীদের ঘরে-ঘরে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলছেন একজন মানবিক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল ।

করোনা সংক্রমণ রোধে কর্মহীন মানুষকে সহায়তা করতে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সময়ের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ইউপি চেয়্যারম্যান অলিউল্লাহ কাজল । ইউপি চেয়্যারম্যানের নেতৃত্বে ইউপি সদস্যরা তাদের ইউনিয়নে বাসিন্দাদের করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, করোনার প্রকোপে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার এর ত্রাণ সামগ্রী হত-দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল। আবার অনেকের ফোন পেয়ে ইউপি চেয়্যারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল ছুঁটে যাচ্ছেন সেখানে এবং পৌঁছে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। ইউনিয়নবাসীকে ভালো রাখতে করোনা সংক্রমণের ভয়কে তুচ্ছ করে প্রতিনিয়ত ছুঁটে চলেছেন ইউনিয়ন এর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল এর এমন কাজে প্রশংসা পাচ্ছে সাধারণ মানুষের। তিনি নিজের স্বাস্থ্যের চিন্তা না করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামের আনাচে কানাচে ঘুরে লোকজনকে ঘরে অবস্থান করতে দিচ্ছেন পরামর্শ। কিভাবে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, সেই সচেতনতার কথাগুলোও সেখানে বলছেন তিনি।সেই সাথে বাজারে হেন্ডমাইক নিয়ে সচারচর করোনাভাইরাস এর প্রচার করেন এক মানবিক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল।

এক প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল প্রতিবেদককে বলেন, সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দেশের দু:সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে এবাদত মনে করি।

৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনে কোন প্রকার সুনাম ক্ষুন্ন হয়নি তার। বরং মানবিক একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। একজন শিক্ষিত, ভদ্র, নিরহংকারী, সদাহাস্যমুখ, মানুষ তাকে সবাই চেনে এবং জানে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ও ভোলা-৪ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং মনপুরা উপজেলায় প্রশাসনের নির্দেশে ও সহযোগিতায় তার ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন।

স্থানীয় লোকজন বলছেন,তার বাবা আলহাজ্ব নজির আহম্মেদ মিয়া সারাজীবন মনপুরা রাজনৈতিক এর সাথে সম্পর্কিত ছিলে।নজির আহাম্মদ মিয়া ছিলেন ইউপি সদস্য সেখান থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার জীবনের শেষ সময় এসে সে মনপুরা উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছে। তারি ধারাবাহিকতা তার ছেলে আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল মানুষের পাশে থাকার লোক। তাই দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন এর লোক ভালোবেসে তাঁকে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।

দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল বলেন, ‘এই বয়সে আমি দুইবার চেয়ারম্যান হয়েছি এটা জনগণের কাছে আমার বড় ঋণ। তারা না চাইলে আমি চেয়ারম্যান হতে পারতাম না। তাই এই বিপদে তাদের পাশে থেকে সেই ঋণ কিছুটা শোধ করার চেষ্টা করছি। এলাকায় করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি ছুটে বেড়াচ্ছি। মানুষের পাশে আছি। পাশেই থাকতে চাই। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকাটাই বড় দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।’
করোনা দুর্যোগে তরুণ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল এর মানবিক কাজগুলো মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।