ফাঁসাতে গিয়ে নিজের পায়ে নিজের কুড়াল

সম্পাদকীয়…

ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে যাওয়ার গল্প আমরা অনেক শুনেছি। তবে বাস্তবে ঘটে এমন ঘটনাও যে আমরা শুনি না সেটা মোটেও বলা যাবে না। জীবনে কোনো না কোনোবার আমরা এমন ঘটনা শুনে থাকি। আর চারিদিকে আলোচনা সমালোচনা ও হাস্যরসের অবস্থার সৃষ্টি হয়ে যায়। যদি সে ঘটনা অপ্রত্যাশিত হয়ে থাকে তাহলে তো আরো বেশি পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়।

প্রিয় সময়ে ‘ইয়াবা দিয়ে ‘ফাঁসাতে’ গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন এএসআই’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমরা পড়েছি। যদিও সংবাদটি অত্যন্ত দুঃখজনক তবুও ঘটনাটি একটু হলেও আমাদের হাসির খোরাক জুগিয়েছে। তবে সেটা যতোই হাসির বিষয় হোক না, ঘটনাটি সত্য বিধায় যে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে তাকে আরো কঠোরভাবে আইনের আওতায় এনে ফাঁসানোর দরকার। যেন সে উচিত শিক্ষা পেতে পারে।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, রংপুর নগরীর চেকপোস্টে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক চাকরিজীবীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় এলাকাবাসী ওই পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। চায়ের দোকানে সিগারেটের প্যাকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী এসে বাধা দেয়।’ কী নিদারুণ ষড়যন্ত্র ছিলো এটি। তবে এটা প্রশংসার বিষয় যে, এলাকাবাসী অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে ওই অভাগা লোকটি পুলিশের ওই ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেয়েছে। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় অবরুদ্ধ রাখা অভিযুক্ত এএসআইকে খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে নিয়ে যায় এবং এলাকাবাসীকে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে যায়।

আমরা আশা করবো, জনগণের বন্ধু যে বন্ধুর মতোই হোক। এটা সবসময় সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা করে। কারো দুর্বলতার সুযোগ এভাবে ফাঁসাতে যাওয়া একেবারে জঘন্য কাজ বলে আমরা মনে করি। অন্যকে ফাঁসিয়ে নিজের লাভের আশা করা যেমন পাপ, তেমনি ঘৃণার কর্মকাণ্ড ! যা আমরা ঘটনা থেকে জানতে পেরেছি। আমরা চাই, ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভোগ করবে।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, প্রিয় সময় গুজব প্রচার করে না

০৮ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ২৩ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২০ সফর ১৪৪২ হিজরি, বৃহস্পতিবার