বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ১৩৩ জঙ্গির তালিকা মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে

নিউজ ডেস্ক :
জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ১৩৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীর তালিকা তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছে বা ছিল এবং এরা জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

এদেরকে দল থেকে অনতিবিলম্বে বের করে দেয়ার সুপারিশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদি বের করা না হয় তাহলে বিএনপিকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইতিপূর্বে কানাডার আদালতে একটি মামলার রায়ে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

যে ১৩৩ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিএনপির অনেক সাবেক মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাও রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ একাধিক ব্যক্তির নাম আছে।

এদের মধ্যে ৩৮ জনের তালিকা পাওয়া গেছে যারা আফগানিস্তানের তালেবান বা অন্যান্য উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; আফগান ফেরত এই নেতারা আফগানিস্তানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। মার্কিন বিরোধী যুদ্ধেও তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এদের মধ্যে অন্তত ৬ জনকে পাওয়া গেছে যারা সিরিয়ায় আইএসএর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং সিরিয়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বাকিরা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মার্কিনবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বা মার্কিন নীতির সমালোচনা করে প্রত্যক্ষ, সশস্ত্র জিহাদ বা অন্য উগ্র মৌলবাদী পন্থা অবলম্বন করে তাদেরকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং এদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে জঙ্গি ও সশস্ত্র তৎপরতার সঙ্গে যুক্তদের তালিকা করা হয়। এই তালিকাভুক্তরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্যই হয় না, এরা যে দেশেই অবস্থান করুক না কেন সে দেশের পক্ষ থেকে যেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয় সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ প্রয়োগ করে।

মার্কিন দূতাবাসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যে তালিকা তৈরি করেছে এই তালিকায় তারা খুব শিগগিরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিএনপির কাছে হস্তান্তর করবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, লুৎফুজ্জামান বাবর, কায়কোবাদসহ বিএনপির যে নেতাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা ইতিমধ্যেই জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বিএনপির একাধিক নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি আদালতের রায়েই প্রমাণিত হয়েছে।

কাজেই তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কতটা কঠোর, তা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জ্ঞাত আছে। এখন বিএনপি তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করবে কি না সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়।

তবে সরকার মনে করে, বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত যারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক দল হয় তাদেরকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিৎ।

যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপিতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক সংগঠন না হতো তাহলে খালেদা জিয়ার কারাবাসের রায়ের পর বিএনপি সহিংস আন্দোলন গড়ে তুলতো। কিন্তু বিএনপির ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে প্রমাণ করেছে বিএনপি গণতন্ত্রে কতটা বিশ্বাসী।

বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার হয়েছে বলে নজরুল ইসলাম খান মনে করেন এবং সেই অপপ্রচারের অংশ হিসেবেই বিএনপির বিরুদ্ধে এইসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাংলানিউজব্যাংক।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা