সুখ অথবা অভাব

ক্ষুদীরাম দাস :

পরিপূর্ণ সুখ মানুষ সইতে পারে না,
ঈশ^রকে ভুলে যায়, ধীরে ধীরে
অথবা হঠাৎই।
হয়তো মনুষ্যত্বের মাপকাঠি
ভেঙ্গে যায় সুখের যাতনায়;
যেমন মাছেরা নতুন পাানিতে
লাফায়, লাফায়, লাফায়।

অভাব আমাদের শেখায়
শেখাতে বাধ্য করে
জীবনের মর্মার্থ।
অথবা জীবনের পূর্ণতা কী হতে পারে
শিখিয়ে দেয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে;
তবে অভাব মানুষ আশা করে না,
আশা করেনি কেউ,
কেউ চায় না।
হতে চাই পরিপূর্ণ সুখী,
সুখীটা নিজের করে রাখতে চাই,
আবার সুখটা হঠাৎ হারিয়ে যায়;
আমরা হারাই,
অথবা ‘অতি সুখে ভুতে কিলায়’।

‘অভাব’কে তিক্ততার বস্তু ভাবি
অভাব শেখায় প্রকৃত জীবন,
অভাব শেখায় খাঁটি মানুষ,
অভাব শেখায় কে মনুষ, কে অমানুষ
অভাব শেখায় কে প্রকৃত বন্ধু
অভাব শেখায় কে আত্মীয়
অভাব শেখায় কে প্রতিবেশী
অভাব শেখায় জেগে থাকা
অভাব শেখায় জীবনের হিসাব
অভাব শেখায় সাহসে এগিয়ে যাওয়া
অভাব শেখায় একা চলার কৌশল
অভাব শেখায় সংযুক্ত দুষ্ট দলে সতর্কতা
অভাব আমাদের জাগায়, ভাবায়,
অভাব শেখায় যোদ্ধা হতে কৌশলসমূহ,
অভাব শেখায় ঈশ^রের সৃষ্টি সৌন্দর্য
তবু অভাব চাই না কেউ।