ফরিদগঞ্জে রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের দেওয়ানজি বাড়ির ব্রিজ হতে মনু মাঝির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি জুড়ে ইমারত নির্মাণের মাধ্যমে রাস্তাটি বন্ধ করার পাঁয়তার করার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত লোকজন যাতায়াত করে চলছে যুগের পর যুগ। সম্প্রতি এলাকারই কিছু সংখ্যক লোক উঠে পড়ে লেগেছে রাস্তাটি বন্ধ করে দিতে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রাস্তাটি বন্ধের জন্য নেপথ্যে রয়েছে, জামাল হোসেন, বাবুল, আনিছুর রহমান জনি। এ পথে চলাচল করছে দিন মজুরসহ স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি বন্ধের জন্য পাঁয়তারাকারীদের আমারা বাধা দিলে তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমরা উপায়ন্ত না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমাদের চলাচলের রাস্তা যেন কোনওভাবেই বন্ধ না করতে পারে।

এ বিষয়ে সাবেক ১৫নং ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল কাদের মিলন চৌধুরী জানান, আমার সময় কালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেই ২০০৮-৯ অর্থ বছরে। ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৯শত ৬৩ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি দপ্তরের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া ২০০৮ সালে ওয়াপদা থেকে অনুমতি এনে ৪০দিনের কর্মসৃজন দিয়ে এ রাস্তায় মাটির কাজ করে দেই। এ এলাকার লোকজন যাতে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে।

অভিযুক্ত বাবুল, জামাল উদ্দিন, আনিছুর রহমান জনি জানান, আমরা স্থানীয় আমিন দিয়ে সকল কাগজ পত্র দেখে মাপ-জরিপ করেই আমাদের সীমানা নির্ধারণ করেছি। খালের দক্ষিন পাড়ে সরকারী কোন জমি নেই। খালের উত্তর পাড়ে রয়েছে সরকারী জায়গা। তাই এ পথে কেই যাতায়েত করতে পারবেনা। খালের উত্তর পাড়ে প্রভাবসালী এক ব্যক্তি পাড়সহ খাল দখল করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ জহির উদ্দিন জানান, রাস্তার পাশে বহমান খালটি হচ্ছে রুমুর খাল। এ খালের প্রস্থ্য ১২৫ ফুট। দু’পাড়ে রাস্তাসহ খালটি সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ-জরিপ করে সমস্যার সমাধান করা দরকার।

তাছাড়া তিনি আরোও জানান, সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মধ্যে পারুল, মাসুম, নিলা, নাছরিন, তারেক, পারভিন জানান, আমরা যুগের পর যুগ এ খালের পাড় দিয়ে চলাচল করে আসছি। প্রায় পাঁচ শতাধীক নারী-পুরুষ, শিশু ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী এ পথে প্রতিনিয়ত যাতায়েত করছে। আমাদের সাবেক জনপ্রতিনিধিরা রাস্তার উন্নয়ণে ও আমাদের চলাচলের সুবিধার্থে একটি ব্রীজও নির্মাণ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউএনও শিউলী হরি জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারী জায়গা কোন ভাবেই ব্যক্তি সার্থে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।