২৫শ শিক্ষক নিয়োগ : সোমবার এনটিআরসিএ’র আপিলের আদেশ

 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী প্রায় দুই হাজার ৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সুপারিশ করার হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে এনটিআরসিএ’র করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার (২৮ জুন) দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
ধার্য দিনে উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে রোববার (২৭ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন এনটিআরসিএ’র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মো. মহি উদ্দিন হানিফ।

এর আগে গত ২২ জুন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ২ হাজার ৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত না করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্যে পাঠান চেম্বারজজ আদালত।

হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে এনটিআরসিএ’র করা আবেদনের শুনানিতে গত ২২ জুন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন এনটিআরসিএর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মো. মহি উদ্দিন হানিফ।

এর আগে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী ২ হাজার ৫০০ জনকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ১৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে গত ৩১ মে হাইকোর্ট এনটিআরসিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনের ২৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগে সুপারিশ করতে যে আদেশ দিয়েছেন, সেটি স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

গত ৩১ মে রিটকারী ২ হাজার ৫০০ জনকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএর জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

আর এনটিআরসিএর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশের রায় বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদন নিষ্পত্তি করে দেন আদালত। বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী চার সপ্তাহ পর হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে বলেও জানান আইনজীবীরা।

গত ৩১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য সাতদিন সময় দেন।

একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে এনটিআরসিএর জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম এ সময় পর্যন্ত স্থগিত রাখারও আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানি হয়।

হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে একটি জাতীয় মেধাতালিকা করাসহ সাত দফা নির্দেশনা দেন। ওই রায়ে বলা হয়, এনটিআরসিএ নিয়োগের উদ্দেশ্যে যদি কোনো সুপারিশ করে তবে তা ৬০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সনদধারীদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদ বহাল থাকবে। কিন্তু এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ এ রায় বাস্তবায়ন না করেই তৃতীয় দফা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন।