তুমি চইলা গিয়া ভালাই করসো : যুবক অনার্য

তুমি চইলা গিয়া ভালাই কর‍সো
থাইকা গেলে নিসঃঙ্গতা আমারে
বুড়া আঙ্গুল দেখাইতে পারতো না
দিন শেষে মনে হইতো
বাসায় ফিরা লাগবো

সারেং বউয়ের মতো আমার লইগাও অপেক্ষা করতাসে মিষ্টি একটা বউ
আমার কুনু রুটিন নাইকা
টাইমের ব্যাপারে আমি চিরিদিন টেরবেটর
তুমি থাকলে রুটিন মাইনা চলার
প্যারা লইতে হইতো
চইলা গিয়া প্যারা থাইকা বাঁচায়া দিলা

তুমি থাইকা গেলে
নিয়মিত বাজারে যাইতে হইতো
আমি শালার মাছ খাই
কিন্তু কুনটা কী মাছ- চিনি না
তোমার লইগা বাজারে গিয়া
বোকার লাহান জিগাইতে হইতো:

ভাই এইটা কি নলা
নাকি কাইলাবাউশ
একটা রেগুলার চাকরি
পাওয়ার লইগা কতো জনের
হাত পাও ধরতে হইতো
গরিব হইলে কি হইবো
আমগো কি ব্যক্তিত্ব নাই

তুমি থাকলে ব্যক্তিত্বের মায়রে বাপ
কইয়া ছোট লোকগুলার কাছে
গলা নিচু কইরা চাকরির কথা কয়া পরাজয়ের গ্লানি লইয়া
নিজেরে ধিক্কার দিতে হইতো
বড়ো বাঁচান বাঁচাইয়া দিলা
রাইতের বেলা জাইগা থাকি

আকাশের তারাগুলি আমারে গুনে নিজেরে কবি কবি লাগে
মনে মনে কই হে অধম মানুষেরা
তোমরা আমারে না চিনলে কি হইবো
আকাশের নক্ষত্রগুলান
আমারে ঠিকই চিনে
তুমি থাইকা গেলে এইসব হাইথট
ব্যাপার স্যাপার ক্যামনে হইতো -কও
এখন আমি স্বাধীন বাঙ্গালির চাইতেও বেশি স্বাধীন

আমার কুনু পিছুটান নাই
আমার লইগা কেউ অপেক্ষা করে না
শুধু মাঝরাইতে পকেট দরজা দিয়া ঢুকবার টাইমে
রাস্তার পুরান কুত্তাটা কিঁউ কিঁউ
কইরা উঠে
তুমি থাইকা গেলে মাঝরাইতের নেশা আমারে পাইতো না
মনে হইতো জীবনের হিসাবগুলা
মিলা যাইতাসে

মিলা গেলে আমি আর আমি
হইতে পারতাম না
তুমি চইলা গিয়া ভালাই করসো
থাইকা গেলে পোড়া গন্ধ কারে কয়-
জানা হইতো না
জানা হইতো না – আমারে
পায় নাই কেউ শুধু তুমি পাইসিলা।