ভালো ভালো অনেক ভালো

কথিকা : ক্ষুদীরাম দাস

অন্যের দ্বারা আঘাতে আহত হয়ে কেউ কেউ বিতৃষ্ণায় জীবনযাপন করছেন। যারা আঘাত করে তারা খুবই কাছেরই মানুষ, আপন মানুষ। তাই সহ্য করা বড়ই কষ্টকর! আমরা কোনো সময় আশা করি না, তবে তাদের দ্বারা আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হই।

কোনো কোনো সময় ভালো থাকতে চাইলেও ভালো থাকা যায় না; কেননা দুষ্টু মানুষগুলো ভালো থাকতে দেয় না। আপনি কোনো সময় তর্ক করতে না চাইলেও যদি দুষ্টুরা তর্ক করতে গায়ে পড়ে লেগে যায়, তখন সেখানে কিছুই করার থাকে না।

আপনি ভালো জানেন যে, ‘তর্কের চেয়ে নীরবতা ভালো।’ সুতরাং নীরবতাই উত্তম পন্থা বলেই মনে করছি। যতটা সম্ভব তাদের এড়িয়ে চলা ভালো। কিন্তু কোনো কোনো সময় কষ্ট পেয়ে বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছা জাগে মনে, মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যদি সে আপন মানুষ হয়, কিম্বা কাছেরই কোনো মানুষ হয় তখন মনের মধ্যে বিরাট বাধা এসে যায়।

তখন সহ্য করাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। জ্ঞানীরা বলছেন, তখন নাকি জীবনের রাস্তা বদলে ফেলা অনেক ভালো। দূরে কোথাও চলে গিয়ে শান্তিতে বসবাস করা অনেক ভালো। কেননা আশপাশে স্বার্থপর মানুষের কোনো অভাবই নেই। তাই সে ক্ষেত্রে উপায় থাকলে সে ধরনের স্বার্থপর মানুষের সাথে চলবার চেয়ে একা চলা কী অনেক ভালো নয়। সেটা বরং ভালো ভালো অনেক ভালো।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ১৯ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, বুধবার