চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬০ বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্য বেশি

কবির হোসেন মিজি।। চাঁদপুরে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা পড়েছে শত শত স্যাম্পল এবং শনাক্ত হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড সংকট দেখা দিয়েছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনায় আক্রান্ত এবং সন্দেহ জনক রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট বেড রয়েছে ৬০ টি। সেখানে গত কয়েকদিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই নিদিষ্ট ৬০ বেড ছাড়িয়ে গেছে। এ কারনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও দেখা দিয়েছে বেড সংকট। প্রতিদিনই ওই ইউনিটের ভর্তি হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে সন্দেহজনক রোগীরা।

আইসোলেশন ওয়ার্ডে খবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে সর্বমোট ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ২৭ জন এবং এর বাইরে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ২৬ জন।৭ এপ্রিল বুধবার দিন নতুন করে ভর্তি হয়েছে আরো ৫ জন। তারা প্রত্যেই আক্রান্ত। এবং আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছুটি নিয়েছেন ৮ জন রোগী।

এছাড়া প্রতিদিনই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল জমা দিচ্ছেন শত শত সাধারণ মানুষ। ৭ এপ্রিল বুধবার সারা দিনে শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালেই ১৭৮ জন নমুনা পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল জমা দিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় চাঁদপুরে করোনার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত গতিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ভয়াবহতা থেকে কিছুটা মুক্ত হতে হলে সকলকে সাবধানতা অবলম্ভন করতে হবে। রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ট, হাট বাজার সবস্থানেই যদি জনসমাগম রোধ করা সহ সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড আছে ৬০(covid 30, suspected 30), বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত রুগী ছিল ৬৫ জন। এরমধ্যে কোভিড ৪৫, নন কোভিড ২১জন। এই এত রোগীর মধ্যেও আমরা যথাসাধ্য চেস্টা করেছি রুগীদের সেবা দেবার জন্য,,,৷ কিন্ত আমরা যদি সচেতন না হই,,লকডাউন কঠোরভাবে পালন না করি,স্বাস্থবিধি মেনে না চলি, মাস্ক না পরি তাহলে আমাদের অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের মতে,যাদের অক্সিজেন লেভেল ৯৩ বা এ-র উপরে এবং খুব বেশী শ্বাসকস্ট না হলে তারা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকবে এবং আমরা যারা সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে কাজ করছি, তাদের সাথে যোগাযোগ করবে।