ক্ষুদীরাম দাস-এর ছোট গল্প : ওড়না হরণ!

হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো।
চারিদিকে অন্ধকার। এই অন্ধকার কিছু সময়ের জন্যে, চার থেকে পাঁচ মিনিট। এর মধ্যেই অঘটন ঘটে গেলো। যে ঘটনার জন্যে মিতু কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলো না।

ঠিক আধা ঘন্টা আগে মিতুর বান্ধবী শিলা, তনুশ্রী, আইরিন তাদের বাড়িতে এসেছিলো। উদ্দেশ্য তারা সকলে মিলে একসাথে মেলায় ঘুরতে যাবে। ওরা সকলে সন্ধ্যার দিকে একসাথে এসেছিলো। মেলার চারিদিকে ঘুরাঘুরি করার পর যখন একটু অন্ধকার হলো তখন শিলা ও তনুশ্রী বাড়িতে চলে গেলো। ওদের বাড়ি দূরে ছিলো বিধায় তারা বেশি সময় ঘুরতে চাইলো না। এরপর রয়ে গেলো মিতু ও আইরিন। আর ওদের বাড়ি মেলা থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ। ওরা ভেবেছিলো, যেহেতু বাড়ি কাছেই, তাই আমরা আরো বেশি সময় ঘুরাঘুরি করতে পারি। এতে কোনো সমস্যা হবে না। আর বাড়ি কাছে বলেই মনে সাহস রয়েছে, এটা স্বাভাবিক।

যতই অন্ধকার হচ্ছিলো, ততই মানুষের আনাগোনা বাড়তে লাগলো। আর যেহেতু মফস্বল এলাকা, খেটে খাওয়া মানুষগুলো সারাদিনের পরিশ্রমের পর উদ্দেশ্যে অথবা উদ্দেশ্য ছাড়াই মেলা মাঠে ঘুরতে চলে এলো। এতে মেলা মাঠ মানুষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। এদিকে পুতুল নাচের প্যান্ডেল, ওদিকে সার্কাস প্যান্ডেল রঙিন আলোয় ভরে গেলো। চারিদিকে ঝিঁকিমিকি আলোতে ভরে গেলো। মেলা মাঠ বেশ অপূর্ব লাগছিলো।

ওঁৎ পেতে থাকা হিং¯্র হায়েনাদের উদ্দেশ্যই থাকে শিকার ধরার। যখনই সুযোগ পাবে, হাতছাড়া করবে না কোনোভাবেই। তেমনি দুষ্ট যুবকের দলও লালসা পূরণ করতে প্রস্তুত ছিলো। আর হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মফস্বলের পরিবেশ, তাই বিদ্যুৎ যাওয়ার সাথে সাথে আনন্দে হোক, অযথাই হোক চিৎকার করে উঠলো সকলে। আর এ সুযোগে তখনই অন্ধকারে যুবকের দল মিতু ও আইরিনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। কয়েকজন যুবক আইরিনের শ্লীলতাহানি করলো, মিতুর সাথেও তাই করলো। মিতুর ওড়নাটি হরণ করলো কোনো এক যুবক। হ্যাঁচকা টান দিয়ে যখন ওড়নাটি হরণ করলো তখন মিতু বুঝতে পারলো তার সাথে কিছু হচ্ছে। তখনই সে চিৎকার করে উঠলো। কিন্তু চারিদিকের মানুষের চিৎকারের কারণে তার চিৎকারটি যে বাঁচার জন্যেই হচ্ছে সেটা অন্যরা বুঝতে পারলো না। ওড়না টানার সাথে সাথে মিতু গলায় একটু ব্যথাও পেয়েছিলো। মিতু ও আইরিনের স্যালোয়ার কামিজ কোথাও কোথাও একটু আধটু ছিঁড়ে গিয়েছিলো।

কিছু সময় পর দুষ্ট যুবকের দল অন্ধকারের মধ্যে এদিক ওদিক ছুটে পালালো। তখনই জেনারেটরের আলোয় আবার মেলা মাঠ আলোকিত হলো। সাথে সাথে আবার সকলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। মিতু ও আইরিন উভয়েই বুঝতে পারলো, তাদের সাথে অসভ্যতা হয়েছে। ওরা একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলো। মনের দুঃখে তাদের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। পরে নিজেদের স্বাভাবিক করার জন্যে মেলা মাঠের পূর্ব পাশের চাপকল থেকে দু’জনে মুখে পানির ঝাঁপটা দিলো।

আইরিন বললো ঃ আমাদের এভাবে আশা উচিত হয়নি। এত রাত পর্যন্ত থাকাটাও বোকামি হয়েছে।
মিতু ঃ হুম!
আইরিন ঃ গোপন রাখতে হবে এসব বিষয়। প্রকাশ হলে সম্মান থাকবে না।
মিতু ঃ তুই ঠিক বলেছিস!
আইরিন ঃ তুই কাউকে চিনতে পেরেছিস?
মিতু ঃ অন্ধকারে কারো মুখই চিনতে পারিনি। তুই চিনতে পেরেছিস?
আইরিন ঃ না। চিনতে পারিনি।
মিতু ঃ ঐদিকে দেখ, তোর কাকা আসছে। তুই তাহলে তোর কাকার সাথে বাড়িতে চলে যা। মেলায় আর থাকার দরকার নেই।
আইরিন ঃ তুই কীভাবে যাবি?
মিতু ঃ তোরা তো আমাদের বাড়ির পাশ দিয়েই যাবি। যাওয়ার পথে আমি বাড়ি চলে যাবো; আর তুই তোর বাড়িতে।
আইরিন ঃ হুম!
ওরা দু’জন বাড়ির দিকে রওনা দিলো। যাওয়ার পথে মিতু চলে গেলো মিতুদের বাড়িতে। মিতু একটু দূর থেকে দেখতে পেলো, ঘরের দরজাটি খোলাই রয়েছে। এটা মিতুর জন্যে ভালো হয়েছে। মিতু এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো কেউ তাকে দেখতে পায়নি। তাই দ্রæত গতিতে ঘরের ভেতর ঢুকে গেলো। নিজের রুমে গিয়ে অন্য একটা ওড়না তাড়াতাড়ি বুকে জড়ালো। ওড়না জড়াতে পেরেই একটি দীর্ঘশ^াস ছাড়লো যে বিষয়টি সকলের থেকে গোপন রয়েছে। কিন্তু মেলা মাঠে যা হয়েছে তার জন্যে খুবই খারাপ লাগছিলো। কষ্টের কথা কাউকে বলতে না পারলে যাতনার জ¦ালায় অন্তর জ¦লতেই থাকে। মিতুরও তাই হচ্ছিলো। মিতু বিছানায় উপুড় হয়ে মুখ বালিশে চাপা দিয়ে কিছু সময় কাঁদলো, মনের কষ্টে দু’চোখের অশ্রæ গড়িয়ে পড়ছিলো। লজ্জা আর ঘৃণায় নিকৃষ্ঠ যুবকদের প্রতি তিক্ততা কাজ করছিলো মিতুর মনের মধ্যে। ইচ্ছে করছিলো, দু’পায়ের জুতা খুলে ওদের পেটাতে। কিন্তু কোনো উপায় নেই!
মিতুর মা রান্না ঘর থেকে উচ্চস্বরে ডাক দিলো মিতুকে ঃ মিতু তুই এসেছিস মেলা থেকে?
মিতুও উচ্চস্বরে উত্তর দেয় ঃ আমি এসেছি মা।
মিতুর মা আর তাকে ডাকে না, ডাক্তার প্রয়োজন মনে করে না। ঘরে ফিরে এসেছে তাতেই মনে মনে তৃপ্তি অনুভব করে। বেশ কিছু সময় পর মিতু বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ায়। তারপর স্যালোয়ার কামিজ পরিবর্তন করে নিজেকে আরো স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। কিন্তু মনের মধ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা স্বাভাবিক হওয়াটাও কঠিন বিষয়।
বেশ কিছু সময় পর মিতু তার রুম থেকে বের হয়ে আসে।
মিতু ঝাড়–টা হাতে নিয়ে বড় ভাইয়ের রুম পরিস্কার করবার জন্যে তার রুমে প্রবেশ করে। টেবিলের সামনে চেয়ারের উপর মিতু দেখতে পায় একটি ওড়না! ওড়নাটি দেখার সাথে সাথে স্তব্ধ হয়ে যায়। ছ্যাঁৎ করে উঠে হৃদয়টা, ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে যায় সাথে সাথে। হাত পা অবশ্য হয়ে আসে মিতুর। চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়। চোখ দু’টি বিড় বিড় করতে থাকে। এটাতো তারই ওড়না। মিতু আরেকটু এগিয়ে যায়। ভালো করে দেখতে থাকে ওড়নার দিকে। মিতু মনে মনে নিশ্চিত হয়ে ভাবে, এটা তারই ওড়না। এতে কোনো ভুল নেই। এই ওড়না পড়েই সে মেলায় বান্ধবীদের সাথে মেলায় গিয়েছিলো। দাদার চেয়ারের উপর এই ওড়না কোথা থেকে এলো! তাহলে আমারই ভাই, এসব ভাবতে গিয়ে ঘৃণা ও ক্ষোভ আরো চেপে বসে। নিজের ভাই হয়ে এমন কাজ করতে পারলো। এই ঘৃণা মিতুকে চিরজীবন জ¦ালাতন করবে। কোনোদিন মিুত ভুলতে পারবে না। মিতু ধপাস করে মাটিতে বসে পড়ে। শব্দ পেয়ে রান্না ঘর থেকে তার মা দৌঁড়ে ছুটে চলে আসে।
মিতু ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। মা মিতুর মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞাসা করে ঃ কী হয়েছে তোর মা? তুই কাঁদছিস কেনো?
মিতু ঃ কিছু হয়নি মা। আমার পেটে ব্যথা করছে, তাই।
মা ঃ তাহলে তো ডাক্তারের কাছে নিতে হয়।
মিতু ঃ ডাক্তারকে দেখানোর মতো ব্যথা নয় মা। সেরে যাবে, তুমি চিন্তা করো না।
মা ঃ তাহলে বিছানায় শুয়ে থাক।
মিতুর মা চলে গেলে মিতু আরো কাঁদতে থাকে। ভাবতে থাকে, এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না। আমারই ভাই মেলা মাঠে দুষ্ট যুবকদের সাথে ছিলো। আর আমারই সাথে এমন আচরণ করলো। আমি আর এ জীবন রাখতে চাই না। বেঁচে থেকে এ জীবনে আমি কোনো সুখ খুঁজে পাবো না। আমার সুখে পথ ধ্বংস হয়ে গেছে। চিরজীবন আমাকে এই যাতনা আমাকে খোঁচা দিয়েই যাবে। সুতরাং আত্মহত্যাই আমার জীবনের সবচেয়ে উপযুক্ত পন্থা!
মিতু তার নিজের রুম বন্ধ করলো। তারপর খাতা বের করে একটি কাগজে লিখলো ঃ
মেলায় আমার ও আমার বান্ধবীর সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি কষ্টে আছি। কিছু যুবক আমাদের উপর শ্লীলতাহানি করেছে। আমরা গোপন রাখতে পেয়েছিলাম। মনে দুঃখ থাকলেও গোপন রেখে নতুনভাবে বাঁচতে চেয়েছি। কিন্তু ঐ যুবকদের সাথে আমারই নিজের আপনজন আমার সাথে শ্লীলতাহানী করেছে। যা আমি কোনোদিনই ভুলতে পারবো না। ধুঁকে ধুঁকে আমি চিরজীনব জ¦লে মরবো। এটা আমি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারবো না। আমি নিশ্চিত হয়েছি, আর নিশ্চিত হয়েই আমি আমার জীবন শেষ করে দিলাম। কেননা আমার জীবনের কোনো মূল্য নেই। আর মূল্যহীন জীবন বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ হবে?
মিতু ফ্যানের সাথে সেই ওড়নাটি প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘন্টাখানেক পরে মিতুর মা আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। চারিদিক থেকে লোকজন ছুটে চলে আসে। এর মধ্যে আত্মীয়স্বজনও তাদের বাড়িতে ভিড় করতে থাকে। কেউ কোনো কারণ খুঁজে পায় না মিতুর মৃত্যুর।
সকলেই মিতুর মৃত্যুর জন্যে হাহুতাশ করতে লাগলো। সকলেই বলাবলি করতে লাগলো, মেয়েটি অনেক ভালো ছিলো, লেখাপড়ায়ও অনেক ভালো, বড় হলে সে ডাক্তার হবে বলেছিলো, ভালো গান গাইতে পারতো, খুব সুন্দর গলার কণ্ঠ, তার চরিত্রে কোনো কালিমা নেই, এমন ভালো মেয়ে এই তল্লাটে একটিও পাওয়া যাবে না, এতো ভালো মেয়ে কোনো হত্মহত্যা করলো, কারো সাথে কি তার কোনো প্রেম ছিলো, এমন মেয়ে প্রেম করতে পারে এটা আমাদের বিশ^াসই হয় না, মেয়েটি খুবই মিশুক ছিলো, সেদিনও তো মেয়েটির সাথে আমরা কথা বলেছিলাম, আমরা তো তাকে সুস্থ দেখেছিলাম, তার কি কোনো রোগটোগ ছিলো নাকি-ইত্যাদি কথা বলাবলি হচ্ছিলো।
মৃত্যুর সংবাদে বাড়িতে মানুষে ভরে গেলো। মিতুর বান্ধবীরাও রাতের মধ্যে তাদের মা বাবার সাথে মিতুকে দেখার জন্যে ছুটে চলে এলো। এদের মধ্যে আইরিনও ছিলো। বান্ধবীকে হারিয়ে সেও কাঁদতে কাঁদতে দেখার জন্যে ঘরে ঢুকলো। পুলিশী তদন্ত থাকায় তখনও ঝুলছিলো মিতুর লাশ। আইরিন এতো মানুষের ভিড় ঠেলে মিতুর ঘরে ঢুকলো। সেই ওড়নাটি দেখে চুপ হয়ে গেলো আইরিন। মনে মনে ভাবলো, এই ওড়না তো হরণ করেছিলো মেলা মাঠে হিং¯্র যুবকরা। তাহলে তার গলায় এটা কেনো? কিন্তু কাউকে সে এ বিষয়টি বলতে পারছিলো না। যেহেতু তার বান্ধবী তাকে নিষেধ করেছিলো, গোপন রাখতে বলেছিলো সবকিছু। কিন্তু ওড়নাটি দিয়েই সে আত্মহত্যা করলো কেনো? এই ওড়না সে কোথায় পেলো? এই প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো।
এর মধ্যেই পুলিশ তাদের বাড়িতে চলে এলো তদন্ত করবার জন্যে। খাতায় কাগজের মধ্যে লেখাটি তাদের চোখে পড়লো। মৃত্যুর আগে মিতু সবকিছু লিখে গিয়েছিলো। তাতে পরিস্কার যে, মেলায় তার ও তার বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিলো। এই দুঃখে সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সে বাড়িতেও এসে তার মাকে এসবের কিছুই বলেনি। পুলিশ সূত্র খোঁজার জন্যে লেখাটি সকলকে দেখাতে লাগলো। মিতুর ভাইও লেখাটি পড়লো। আর মিতুর গলায় সেই ওড়নাটি দেখতে পেয়ে নিজের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিলো। সেও হতবাক হয়ে মাটিতে লুপিয়ে পড়লো। সকলে বুঝলো যে, বোনের মৃত্যুতে তার ভাইয়ের আহাজারিতে হতবাক ও অজ্ঞান হয়েছে। কিন্তু আসল সত্যটি কারো কাছে বললো না; বিষয়টি বলার মতোও ছিলো না। মিতুর ভাই শুধু বিড় বিড় করে বলছিলো ‘আমি ভাই হয়ে, আমি ভাই হয়ে, আমি ভাই হয়ে-এটা কী করলাম’ ঠিক উন্মাদ পাগলের মতো। তবে তার ভাষা কেউই বুঝতে পারলো না। সকলেই মনে করলো বোনের শোকে এমন করছে।
চারিদিকে শোকে আচ্ছন্ন সকলে। এদিকে মিতুর ভাইও গোপনে নিজের রুমে ঢুকে চিরকুটে মনের ব্যাথার কথা লিখলে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করলো। বেশ কিছু সময় পর তার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখতে পায়, মিতুর বড় ভাই আত্মহত্যা করেছে। আর চিরকুট পড়ে পুলিশ বুঝতে পারলো মূল্য ঘটনাটি। তাই মানসিক যাতনায়, ভয় ও লজ্জায় মিতুর ভাই আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি আর গোপন রইলো না। আইরিন কাঁদতে কাঁদতে তার মা বাবার সাথে বাড়িতে চলে গেলো। মিতুর মা কাঁদছে ছেলে ও মেয়েকে হারিয়ে। আর মিতুর বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে ঘরের বারান্দায়। সারারাত মানুষের ভিড় ছিলো মিতুদের বাড়িতে।
ভোর বেলায় গাছের ডালে পাখিদের বাচ্চারা পেটের খিদেয় কিচিরমিচির করেই চলেছে।
—————- সমাপ্ত ——————