শেষের গল্প : সালমা আহমেদ রিনা

সালমা আহমেদ রিনা :

শাসন বাঁধনে নেই বলেই অপু নিজের খেয়ালে জীবনকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গন্তব্য কোথায়? সে তা জানেনা! রাতের আঁধারে শুধু প্রত্যাশায় থাকে আরকেটি নতুন দিনের,,আগামিকালের ব্যাখ্যা কি হবে ঠিক এই মূহুর্তে তার অজানা?আবার সকাল থেকে রাতের সমাপ্তিতে যোগ হবে নতুন কিছু ভাবনা,,নতুন কিছু প্রাপ্তি! নতুন কিছু ব্যর্থতা! সব মিলিয়ে জীবন অপুর কাছে শুধুই উপলব্ধির মস্ত সীমান্ত!! সীমান্তের চারপাশে কঠোর পাহারা,,তাই কোন বসন্ত বা বৈশাখের হলুদ আর লাল অনুভূতি গুলো সীমান্তের গাঁয়ে কখনো পারেনি ছুঁয়ে দেখতে,,,শরৎ আকাশ স্বচ্ছতা নিয়েই আলিঙ্গন করে পৃথিবীকে,,কাশফুলের মেলায় বসে লুকিয়ে লুকিয়ে আকাশ দেখতে অপুর খুব বেশি ভালো লাগে,,, অজানা ঘুঁড়ি ব্যর্থ চালে গড়িয়ে পরে সেই পৃথিবীর বুকেই।।

ভাইজান,,আমি আপনাকে বলছি,,মহীয়সী মমতাজ তাজমহলকে দেখে যেতে পারেনি বলেই ইতিহাস মমতাজকে ভালাবাসার মধ্যমনিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাগ্রত করে রাখবে অনন্তকাল!! মমতাজ ছিল বলেই শাহজাহান পূর্ণতা পেয়েছে,,অসমাপ্ত শাহজাহান সময়ের কাজ অসময়ে করেছে,,শ্বেতপাথরের চাকচিক্য ছোট কুঁড়ে ঘরের কাছে খুব যে নগন্য! আর তাই তো আমাদের আসমানি তার ছোট কুঁড়ে ঘরে থেকেই জয় করেছে কবি হৃদয়,,ভালোবাসার নিবেদন এক মুঠো বেলি ফুলের গভীরে ও পূর্ণতা পায় শ্রেষ্ঠত্বে!!

হয়তো সেখানে তাজমহল ও পরাজিত প্রতি মূহুর্তে,, ঐশ্বর্যের প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র নির্বোধরাই ভালোবাসাকে অশ্রদ্ধা জানায়।অপু খুব অদ্ভুত মেয়ে? কখন যে সে ভালো থাকে আবার কখন মন্দ তা সে নিজেই জানেনা,,আর তাই নিজের সাথেই তার ঝগড়াটা আজকাল একটু বেশিই হয়।

অপ্রয়োজনীয় কিছু বন্ধুদের উপচে পরা খোঁজ -খবরে অপু বড্ড বেশি বিরক্ত হচ্ছে! অপু কখনোই চায় না,,কেউ তার রুটিন মাফিক খবর নেবে,কুশল জানবে,,এগুলো বড্ড ভন্ডামি মনে হয় তার,,অপু নিজই তার নিজের!অন্য হস্তক্ষেপ বিরক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।জীবনের মাপকাঠিতে বিচিত্র মানুষ রং মাখা জানোয়ার!! শুধু সাদা আর কালোর জগৎতে সেই পবিত্র আঁখি অনবদ্য স্মৃতিতে যত্নে থাকবে অনন্তকাল!! সেখানে অন্য জগৎ একদমই বেমানান!!

চলবে…।